খায়রুল আলম রফিক: সরকারের হাইকমান্ডের নির্দেশে দলের নাম ভাঙ্গিয়ে চলা অপরাধী ও দুর্নীতিবাজ নেতা এবং গডফাদার শনাক্তে নতুন করে মাঠে নেমেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। পুুরনো তালিকায় চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, অস্ত্রবাজ, ভুমিদস্যু ও মাদক কারবারিসহ নানা অপরাধে জড়িত অন্তত ১০২ ‘গডফাদার’ রয়েছে নজরদারিতে। তালিকায় যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষকলীগ ও বিভিন্ন নামীয় অবৈধ সংগঠন । পেছন থেকে কলকাঠি নাড়া এসব ভয়ঙ্কর অপরাধীকে পর্যায়ক্রমে পাকড়াও করা হবে।
সরকারি দলের ছত্রছায়ায় থাকা এমন কথিত নেতাদের ধরতে র্যাবের অ্যাকশনের পর পুলিশও মাঠে নামছে বলে জানা গেছে। র্যাব ও পুলিশের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার পরই অ্যাকশন শুরু হয়েছে।
অপরাধী যে দলেরই হোক কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। অপরাধীদের শনাক্তকরণে গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। পুরনো তালিকার পাশাপাশি নতুন করে তালিকা করা হচ্ছে। এ কাজে বেশ কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থা মাঠে কাজ শুরু করেছে।
কয়েকজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, র্যাবের ও পুলিশের গ্রেফতার তালিকায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ নেতা,নারীনেত্রী মডেল, নামধারী নারী সাংবাদিক, প্রতারক চক্রের অন্তত ১০২ জন প্রভাবশালী রয়েছেন যাদের ওপর নজরদারি চলছে।
পর্যায়ক্রমে তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, র্যাব পুলিশের তালিকায় থাকা অনেক জেলা ও উপজেলার প্রভাবশালীরা গ্রেফতারের ভয়ে আত্মগোপনে চলে গেছেন। কেউ কেউ রাতে বাসায় ঘুমাচ্ছেন না।
সূত্র মতে, জিজ্ঞাসাবাদে হেলেনা জাহাঙ্গীর সহ অবৈধ ব্যবসার কোটি কোটি টাকার ভাগাভাগি, কারা এই টাকার ভাগ পায় এবং বিদেশে কিভাবে তারা অর্থ পাচার করে এসব বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে প্রকাশ করেন। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানে নেমেছে র্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশ।
গোয়েন্দা সূত্রগুলো বলছে, শুধু যুবলীগের নেতাকর্মীই নয়, শ্রমিক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী যাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, অস্ত্রবাজিসহ বিভিন্ন অনিয়মের প্রমাণ রয়েছে তাদেরও তালিকা করা হয়েছে। সূত্র বলছে, ঢাকা,ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা,টাঙ্গাইল, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাজশাহী-খুলনা, ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জসহ কয়েকটি জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ,যুবলীগ নেতাদের নামে গুরুতর অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগের শেষ নেই। একই অবস্থা নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী যুবলীগের কয়েকজন নেতা গ্রেফতার থেকে রক্ষা পাবেন না বলে জানাগেছে।