খায়রুল আলম রফিক: আলোকিত জীবনধারার একজন আলোকিত মানুষ। প্রায় ১১ বছর ধরে ত্রিশাল পৌরবাসীর সেবা করে যাচ্ছেন। নিজে যেটুকু অর্জন করেছেন তার সমপরিমাণ বাড়িয়েছেন দেশ মাতৃকার সম্মান। সফল মানুষ হিসেবে নিজের আত্মতৃপ্তির ঝুড়ি কানায় কানায় পূর্ণ করেছেন তিনি। তিনি যুবলীগের সভাপতি থাকাকালে রাজনৈতিক দূরদর্শিতা এবং ত্রিশাল পৌরসভার মেয়র দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন। ফলে পৌরসভার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের মাধ্যমে পৌরসভাকে করেছেন দূর্নীতিমুক্ত। করোনা দূর্যোগে ত্রাণ দিয়ে নিজেকে নিয়ে গেছেন আলোচনার শীর্ষে। তার চেয়েও বেশী প্রশংসিত হচ্ছেন তার ত্রাণ বিতরন কার্যক্রমের ব্যতিক্রমতায়। এতসব ব্যস্তততার মাঝে বিশেষ করে পৌরসভার অনিয়ম ধরতে অথবা স্বচক্ষে দেখতে এই নেতা গভীর রাতে এই পৌরসভা বিভিন্ন স্থানে ঘোরেন, কখনও একা বা কিছু সঙ্গীসমেত। জী তিনি আলহাজ এ বি এম আনিছুজ্জামান আনিছ ।
উপরের অংশটুকু ব্যক্তি আলহাজ্ব আনিছুজ্জামান আনিছ মেধা, প্রজ্ঞার অর্জন। আলোচনার অংশটুকু তাঁকে ধাপেধাপে এগিয়ে যেতে সাহায্য করার অনুষঙ্গ। পুরো বিশ্বকেই স্থবির করে দিয়েছে মহামারী করোনা ভাইরাস। কর্ম থামিয়ে দিয়েছে, অর্থনীতির চাকা বন্ধ করে দিয়েছে। বন্ধ করতে পারেনি মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা।দায়িত্ববোধকে ভুলাতে পারেনি এই করোনা ভাইরাস। যদি মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসার কমতি ঘটাতে পারতো মানুষের প্রতি মানুষের দায়িত্ববোধের জায়গাটি ম্লান করে দিতে পারতো তাহলে আনিছুজ্জামান আনিছ মানুষের বাড়ী গিয়ে অথবা বা ফোন করে পৌরবাসীর সু:খ দু:খ তার রাজনীতিক কর্মী-সমর্থক, বন্ধু বান্ধবদের খবর নিতেন না। আনিছ তার পরিচিত ছোট বড় সবাইকেই ফোন করছেন। করোনা সতর্কতার বার্তা দিয়ে সবার পারিবারিক খোঁজ খবর নিয়েছেন। সবার সুস্থতা কামনা করে ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা জানিয়ে করোনা জয়ে সবাইকে ঘরে থাকার আহবান করে যাচ্ছেন। সবার উদ্দেশ্যেই তাঁর একটিই বার্তা- “বেঁচে থাকলে দেখা হবে, আপনি সুস্থ থাকুন, পরিবারকে সুস্থ রাখতে কার্যকরী সব ভূমিকা পালন করুন। ঈদ শুভেচ্ছা নিবেন, আমার সুস্থতায় দোয়া করবেন। আমি পৌরবাসী পাশে আছি বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে, আপনার যেকোন প্রয়োজনে এই হাতটি ধরুন”।
আনিছ এহেন মনোমুগ্ধকর আচরণে আমাদের জবাব, প্রিয় আনিছ ভাই ! আপনার এই আচরণে ফিরতি ধন্যবাদ দিয়ে আপনাকে ছোট করতে চাই না। আপনি এমনই তা বহু আগে থেকেই আমরা জানি। আপনি মানুষকে এতো গভীর ভাবে ভালোবাসেন বলেই মানুষ আপনাকেও সমপরিমাণ ভালোবাসে। মানুষ তার কর্মের ফল পায়, আপনিও পাচ্ছেন। এক ছাত্রলীগকর্মী বলেন, রাষ্ট্র আপনাকে ভালোবেসে আপনার মেধা প্রজ্ঞার মূল্যায়ন করে যাচ্ছে। আপনার হাত আমাদের উপর অতীতের মতো ভবিষ্যতেও থাকবে এ নতুন কিছু নয়। চমকের সাথে মেয়র আনিছ নাম অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। সোজা সাপ্টায় বলতে গেলে আনিছুজ্জামান আনিছ আর চমক যেন একে অন্যের পরিপূরক হয়ে গেছে। আনিছুজ্জামান আনিছ রাজনীতির মাঠে মানব সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছেন প্রায় ২ যুগের মতো। তাঁর এসময়ে চল পথ অতো মসৃন। অনেক ত্যাগ তিতীক্ষার মাধ্যমে তাঁকে এ অবস্থানে আসতে হয়েছে। তবে তাঁর চলার পথ যেমন মসৃন ছিলনা তিনি যে কাজে হাত দিয়েছেন সে কাজে সফল হয়েছেন। মহামারী করোনা ভাইরাসের দুর্যোগ মোকাবেলায় মেয়র আনিছ প্রায় ১০ হাজার কর্মহীন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের বাসায় খাবার পৌছে দিয়ে বিশাল জনগোষ্ঠির সেবক হিসেবে কাজ করে গরীবের মেয়র হিসেবে চিহিৃত হয়েছেন ত্রিশাল পৌরসভার মেয়র আনিছ।
যতদিন করোনা ভাইরাসের তান্ডব থাকবে ততদিন কর্মহীন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের বাসায় খাবার পৌছে দেয়া অব্যাহত থাকবে বলে জানা গেছে। তারুন্যের অহংকার যুবরত্ন আনিছুজ্জামান আনিছ এই মহামারিতে জনগনের সেবা করে গরীবের মেয়র হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ত্রিশাল পৌরসভায় সিংহভাগ খেটে খাওয়া মানুষ। কেবল খাদ্য সহায়তাই নয়, মেয়র তার নিজের সম্মানির প্রায় সব টাকা পৌবাসীর জন্য গঠিত ত্রান তহবিলে জমা দিয়ে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে খেটে খাওয়া মানুষের মাঝে আস্থার স্থলে পরিনত হয়েছেন মেয়র আনিছ। কারন তিনি সব সময় নেতাকর্মীদের যেমন সুখে দু:খে পাশে থাকেন। তেমনি উপজেলার জনগনের সব সময় পাশে থাকেন। তার বক্তব্য পৌরবাসীসহ সবার আমার দরজা ২৪ ঘন্টা খোলা। পৌরবাসীসহ উপজেলাবাসীর যে কোন বিপদ আপদে আমি পাশে আছি। মেয়র আনিছ সকাল-সন্ধ্যা কাটে সাধারণ মানুষকে নিয়ে। আনিছ মনে করেন, আমি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। আমার বাবা সবাই ত্রিশালের মাটিতে রাজনীতি করেছে। আমিও তাদের বাইরে নই। আমি কোন কুট রাজনীতি বুঝি না। ওই রাজনীতি করতেও চাই না। দেশ ও ত্রিশালের উন্নয়নের জন্য কোন কাজই আমি ভয় পাই না। আমি জনগনের মাঝেই থাকতে চাই। জনগনের শ্রদ্ধা-ভালোবাসা নিয়েই রাজনীতিতে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। মানুষের ভালোবাসাকে জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন মেনে নিয়ে বাকি জীবন কাটিয়ে দিতে চাই বড় ত্রিশাল উপজেলার মানুষের কল্যাণে, দলের কল্যাণে।