ফকরুদ্দীন আহমেদঃ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর ময়মনসিংহ-৭ ত্রিশাল সংসদীয় আসন থেকে প্রথম নির্বাচিত এমপি অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদের ৪র্থমৃতুবাষির্কী আজ।তিনি ২০১৭ সালের এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন।
বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতার পরবর্তি ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে ময়মনসিংহ-৭ ত্রিশাল সংসদীয় আসনের প্রথম এমপি হিসেবে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদ। ময়মনসিংহ জেলার একজন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি ও দক্ষ রাজনীতিবিদ হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে ময়মনসিংহ-৭ ত্রিশাল সংসদীয় আসনে ১৯৭৩ সালে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন । ১৯৭৩ সালে নির্বাচিত হয়ে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদ।
ময়মনসিংহ-৭ ত্রিশাল সংসদীয় আসনের প্রথম এমপি অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদ ১৯৪৩ সালের ২৮ জানুয়ারি ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার ত্রিশাল নামাপাড়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৭ সালে দরিরামপুর হাইস্কুল থেকে মেট্রিকুলেশন, ১৯৫৯ সালে আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট, ১৯৬১ সালে বগুড়া আজিজুল হক কলেজ থেকে বিএ এবং ১৯৬৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৬৭ সালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের নামে সর্বপ্রথম প্রতিষ্ঠিত নজরুল কলেজের প্রভাষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৮৬ সালের ২৮ এপ্রিল তিনি একই কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। পরে ২০০৩ সালের ৩০ জুন অবসর গ্রহণ করেন। তিনি ২০১৭ সালের ১৪ মে ঢাকার সেন্ট্রাল হাসপাতালে ৭৯ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে স্ত্রী ও মেয়ে জেনিফার ফারহানা রশিদ ছেলে মোঃ জাকাউর রশিদ সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান।
ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবির নামে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার অন্যতম উদ্যোগী অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদ। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি সমন্বয়কারী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এসময় তিনি এলাবাসীর কাছ থেকে ১০ (দশ) একর সম্পত্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে দান করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সেই সুবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ে এই গুণিজনের নামে হলের নাম করনের দাবী রয়েছে দীর্ঘদিনের। এছাড়াও তিনি সাবেক দরিরামপুর হাইস্কুল (নজরুল একাডেমী) বর্তমানে সরকারি নজরুল একাডেমীর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৪ সালে ২৮ জুলাই থেকে ১৯৭৮ সালের মে পর্যন্ত তিনি ত্রিশাল বিআরডিবির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দিনটি করোনার কঠিন সময়ে সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন গুলো পালন করতে না পারলেও পারিবারিক ভাবে তাঁর রেখে যাওয়া আত্মীয় স্বজন ও সন্তানেরা পালন করবে বলে জানা গেছে।