শামিম ইশতিয়াকঃ ধীরে ধীরে ময়মনসিংহ শহর হয়ে উঠছে যানজটের নগরী হিসেবে, লকডাউনের আগেও চোখে পরত ভোগান্তি পূর্ণ যানজট, বিশেষ করে সকালের কর্মব্যস্ততার শুরু এবং বিকাল থেকে কর্মস্থান ত্যাগ করার সময়ে শুরু হত এই যানজটের, পৌরসভা থেকে সিটি কর্পোরেশন, কিংবা বিভাগে রূপান্তরিত হওয়ার পরেও রাস্তাঘাট গুলো হয়নি প্রশস্ত, তার উপর আবার শহরে প্রায় ২২টির মত রেলক্রসিং থাকায় নগরবাসীর ব্যাস্ততার মাঝেও থেমে থাকতে হয় ইচ্ছার বিরুদ্ধেই ।
শহরে ভেদ করে রেলপথ চলে হওয়ায় সেই লাইনে চলে ২৯ টির মত ট্রেন, দিনে ৫৮ বার ট্রেনের যাতায়াত হওয়ায় রেলক্রসিং অন্তত ৭ মিনিট করে হলেও অন্তত ৭ ঘন্টা থামতে হয় যানাবাহনের। (তথ্যসূত্রঃ বৈশাখী টিভি) যার ফলে সৃষ্টি হয় যানজটের।এছাড়াও বাড়তি হিসেবে থাকছে অবৈধ অটো রিক্সার বিচরণ, ক্রসিং এর সময় উল্টাপথে যানবাহন চলাচল।
অন্যদিকে শহরের গাঙ্গিনাপাড় ও আশপাশের এলাকায় বানিজ্যিক ব্যাস্ততা থাকায়৷ চরপাড়া মোড়ে ব্রিজ হতে ঢাকাগামী বিভিন্ন বাসের চলাচল, রাস্তার পাশে এম্বুলেন্স এবং সিএনজির পার্কিং, টাউনহল মোড়ে জামালপুর ও মুক্তাগাছার সিএনজি স্ট্যান্ড থাকায় সৃষ্টি হয় যানজটের।অন্যদিকে মাসকান্দায় বাসস্ট্যান্ড এবং যানবাহনের পয়েন্ট ব্রিজ হওয়ায় এলাকাটি যানজন মুক্ত হয়না কখনই।
ট্রেন চলাচলে যানবাহনের থেমে যাওয়াই যানজটের মূল কারন হিসেবে দেখছে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ, তবে এই ব্যাপারে বাংলাদেশ রেলওয়ে ,ময়মনসিংহ বলছেন রেললাইনের বাইরেও যদি সিটি কর্পোরেশন কোন উদ্যোগ নিতে পারে তাহলে হয়ত দূর হতে পারে যানজটের।
এদিকে নগরবাসীর দাবী শহরের যানজট দূর করতে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করবে সিটি কর্পোরেশন, অবৈধ অটো রিক্সা ও উল্টাপথে চলাচল বন্ধের মাধ্যমেই দূর করা সম্ভব যন্ত্রণার চুড়ান্ত মাত্রায় থাকা এই যানজট।