মোঃ আনিসুর রহমানঃ ফুলবাড়ীয়া উপজেলার আছিম বাশদী নতুন বাজার এলাকায় রাজু আহমেদ নামে এক দোকানীকে ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে ফাঁসানোর ঘটনায় সোর্সসহ মুলহোতাকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার (১লা ডিসেম্বর ) রাত আনুমানিক ৮:৩০ ঘটিকার সময় পুলিশের এসআই জাহাঙ্গীর আলম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে রাজু আহমেদের কনফেকশনারি দোকানে যান। দোকানে যাবার পর ব্যবসায়ী রাজু আহমেদকে বলেন আপনার দোকানে ইয়াবা আছে । পুরো দোকান তল্লাশী শুরু করেন তারা। আর পুরো অভিযান জুড়ে কনস্টেবল আমিরুল হক কারো সাথে মুঠোফোনে কথা বলতে থাকেন এবং ইয়াবা কোথায় আছে কিসের মধ্য রাখা আছে সকল তথ্য নিতে থাকেন। এক পর্যায়ে কনস্টেবল আমিরুল হক দোকানের বাহিরে মুঠোফোনে কথা বলেন এবং আবার দোকানে প্রবেশ করে দোকানে সামনের কাচের গ্লাসের নিচে থেকে স্টার সিগারেটের প্যাকেট উদ্ধার করেন। এমন সময় ব্যবসায়ী রাজু আহমেদ বলেন, আমাকে ফাসানো হয়েছে তাই এগুলো ফিঙ্গারপিন্ট পরীক্ষা এবং আমার ব্লাড টেস্ট করতে হবে। এরপর রাজু আহমেদকে ইয়াবা ব্যবসায়ী বলে তাকে আটক করেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীসূত্রে জানাযায়। পরে গত ২রা ডিসেম্বর রাজু আহমেদকে ২০ পিস ইয়াবাসহ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮’র ৩৬(১) এর ১০(ক)ধারায় মামলা দিয়ে আদালতে প্রেরণ করেন। ফুলবাড়িয়া থানার মামলা নং ০২।
১লা ডিসেম্বর রাতে ব্যবসায়ী রাজু আহমেদকে গ্রেফতারের পর বিষয়টি সার্কেল এএসপি স্বাগতা ভট্টাচার্য মৌকে মুঠোফোনে জানানো হলে তিনি ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের অভিভাবক পুলিশ সুপার আহমার উজ জামান বিপিএম (সেবা) মহোদয়কে অবহিত করেন। মানবিক পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান বিপিএম (সেবা)মহোদয় তাকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের মৌখিক নির্দেশ প্রদান করেন। গত ৪ঠা ডিসেম্বর শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে সার্কেল এএসপি স্বাগতা ভট্টাচার্য মৌ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং সত্যতা পাওয়ায় উক্ত ঘটনার সম্পৃক্ত মুলহোতা পোল্ট্রি ঔষধ ব্যবসায়ী মমতাজুর রহমান লালুসহ জড়িতদের গ্রেফতারের নির্দেশ প্রদান করেন। ঐ দিন (শুক্রবার) রাত আনুমানিক ৮:০০ ঘটিকার সময় লালু কে আটক করে ফুলবাড়িয়া থানা পুলিশ। এরপর সোর্স রায়হানকেও আটক করে একই মামলায় আদালতে প্রেরণ করা হয় বলে থানা সূত্রে জানাযায়। বর্তমানে ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে সোর্সদের মাধ্যমে একশ্রেনীর অসাধু মানুষ ( অনেক ক্ষেত্রে সোর্স)কতৃর্ক নিরাপরাধ মানুষকে ফাসাঁনোর ঘটনায় ফুলবাড়িয়ার জনসাধারণ বেশ উদ্ধেগ জানিয়েছেন।