ত্রিশাল প্রতিদিন ডেস্কঃ স্ত্রী মিতু হত্যা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিচারপতি মোঃ আতোয়ার রহমান ও আলী রেজার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এ মামলায় জামিনে বাবুল আক্তারের মুক্তিতে বাধা নেই বলে সাংবাদিকদের জানান আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। তিনি বলেন, “বাবুল আক্তার আগের সব মামলায় জামিনে আছেন তাই আজ জামিন পাওয়ায় তার মুক্তিতে বাধা নেই।”
তার আইনজীবী শিশির মনির আরও বলেন, “বাবুল আক্তার ০৩ বছর ০৭ মাস ধরে কারাগারে আছেন, এই বিবেচনায় আদালত তাকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছেন। একইসঙ্গে বাবুল আক্তারকে কেন স্থায়ী জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন।”
অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোঃ জসিম উদ্দিনের আদালতে এর আগেই জামিন আবেদন করেছিলেন এসপি বাবুল আক্তার।তার পরে ১৮ আগস্ট বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে ।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ০৫ জুন সকালে চট্টগ্রামের নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গেলে পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মিতু। ওই সময় এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে তৎকালীন পুলিশ সুপার ও মিতুর স্বামী বাবুল আক্তার পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয়দের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। তবে মামলায় স্ত্রী হত্যাকাণ্ডে স্বামী বাবুল আক্তারেরই জড়িয়ে দেয় পিবিআই এমনটাই অভিযোগ।
২০২১ সালের ১২মে আগের মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। সেদিনেই বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানায় দ্বিতীয় মামলা দায়ের করেন মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন। ওইদিনই মামলাটিতে বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করে পিবিআই।সেই থেকে কারাগারে রয়েছেন বাবুল।
এদিকে, প্রথম মামলায় পিবিআইয়ের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ১৪ অক্টোবর নারাজির আবেদন করেন বাবুলের আইনজীবী। তবে পরবর্তী সময়ে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ২০২২ সালের ২৫ জানুয়ারি মিতুর বাবার দায়ের করা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়। এরপর একই বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর প্রথম মামলাটি অধিকতর তদন্ত শেষে বাবুলসহ ৭ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। ২০২৩ সালের ১৩ মার্চ আলোচিত মামলাটিতে বাবুল আক্তারসহ সাত আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।