মোঃজিয়াউল হক, শেরপুর প্রতিনিধি : সারা দেশে বিএনপি’র ডাকা হরতালে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শেরপুর থেকে ঢাকাগামী কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। বাস স্ট্যান্ডে কাউন্টার খোলা থাকলেও দেখা মিলছে না কোন যাত্রীর। এ কারণে অলস সময় কাটাচ্ছে পরিবহন শ্রমিকরা। ২৯অক্টোবর রবিবার সকাল ছয়টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শহরের নতুন নবীনগর বাস স্ট্যান্ড ও নতুন বাস টার্মিনালে একই চিত্র দেখতে পাওয়া যায়। সেখান থেকে আন্তঃজেলা রুট সহ ঢাকায় কোনো বাস ছাড়েনি। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রী সংকট কেটে যাবে বলে ধারনা করলেও যাত্রি পাওয়া যায়নি।
পরিবহন শ্রমিক ও মালিকরা বলছেন, বাস চলাচলের সিদ্ধান্ত রয়েছে। এ কারণে ভোর থেকে কাউন্টার খোলা রাখা হয়েছে। কিন্তু হরতালের কারণে যাত্রী সংকট দেখা দিয়েছে। মালিক সমিতির নির্দেশনা থাকলেও গাড়ি ভাঙচুরের ভয়ে আছে। অনেক শ্রমিক এই হরতালে গাড়ি নিয়ে বেড় হতে ভয় পাচ্ছেন। তবে হরতালকে কেন্দ্র করে এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। হরতালের সমর্থনে বিএনপি-জামায়াতের কাউকে পিকেটিং করতে দেখা যায়নি। শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক,দলীয় কার্যালয় এবং জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বাড়ানো হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা। কিছু কিছু এলাকায় ছাত্রলীগের সদস্যদের মহড়া দিতে দেখা গেছে।
অপরদিকে শেরপুরে সকাল-সন্ধ্যা হরতালে মাঠে নেই বিএনপি। জেলা বিএনপি’র কার্যালয়েও দেখা গেছে তালাবদ্ধ। তবে জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সকালে শহরে শান্তি মিছিল বের করা হয়। পরে শহরের নিউ মার্কেট মোড়ে শান্তি সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ছানুয়ার হোসেন ছানুর নেতৃত্বে এ শান্তি মিছিল ও সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে বিএনপির ডাকা হরতালে বিএনপি মাঠে না থাকায় শহরের সকল প্রকার যানচলাচল করে এবং সকল প্রকার দোকানপাঠ খোলা রয়েছে। এছাড়া সরকারী-বেসরকারী ব্যাংক-বীমা ও অফিস পাড়ায় হরতালের কোন প্রভাব পড়েনি। শেরপুর জেলার ৫ উপজেলার সবখানেই স্বাভাবিক কাজকর্ম চলছে।