ময়মনসিংহ সদরে স্বতন্ত্র প্রার্থী এড.মুঞ্জুর মোটরসাইকেল এর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ ভোটাররা

আরিফ রববানী ময়মনসিংহ::ময়মনসিংহের সদর উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে মোটরসাইকেল  প্রতীক নিয়ে  আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক আইনজীবী  এড. মুঞ্জুরুল হক মুঞ্জু। ইতিমধ্যেই ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামের যুব সমাজ ও সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাক্তিগত ইমেজ তৈরি করতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। নির্বাচনী মাঠে তরুণ ও আইন বিশেষজ্ঞ প্রার্থী হিসাবে সাড়া জাগানো আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন তরুন সমাজ সেবক ও বিশিষ্ট আইনজীবী ও মোটরসাইকেল  প্রতীকের প্রার্থী এড.এড. মুঞ্জুরুল হক মুঞ্জু।

তিনি ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় বারের মতো  চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৩য় দফায় ময়মনসিংহ জেলার সদর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে,ইতিমধ্যেই প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রতীক বরাদ্দের পর পরই এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই এখানের দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পোস্টার-ব্যানার ও নিজেদের ছবি সংবলিত লিপলেট ছাপিয়ে ভোটারদের মাঝে বিলি করছেন। পাশাপাশি ইউনিয়নের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় নানাবিধ উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড, স্থানীয় পর্যাযের বিভিন্ন সভা-সমাবেশে অংশ গ্রহন করা সহ নিজেদের  ভোটারদেরকে কাছে টানতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও কৌশলী হয়ে নিরবে দিন–রাত প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন।

স্থানীয় পর্যায়ের এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে ইউনিয়নের ছোট-বড় হাট-বাজারের চায়ের দোকান গুলোতে সকাল-সন্ধ্যার আড্ডায়  প্রার্থীদের পক্ষে-বিপক্ষে তর্ক ও চুলছেড়া বিশ্লেষণ করছেন সাধারন ভোটারা।

প্রার্থীদের কেউ কেউ উন্নয়নের নতুন প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করলেও সকল প্রার্থীদের এসব তৎপরতা পর্যবেক্ষণ করছেন ভোটাররা। তাঁদের প্রত্যাশা, যতই প্রার্থীদের চাপ থাকুক না কেন, সৎ, যোগ্য ও পরিচ্ছন্ন ব্যক্তিকে ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে সমর্থন দেবে জনগন। তবে তারা সংশয়ে আছেন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটের পরিবেশ নিয়ে।

ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ফিরে দেখা গেছে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে  একজন শিক্ষিত, তরুণ প্রার্থী হিসেবে মুঞ্জু সাধারন মানুষের মাঝে আলোচনায় রয়েছেন।

স্থানীয় কয়েকটি বাজারে ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে আগত একাধিক সাধারন মানুষ ও নতুন ভোটারদের সাথে কথা হলে তারা জানান, প্রতীক বরাদ্দের পর-পরই অনেক প্রার্থীরা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার-প্রচারনা চালাচ্ছেন। যদি সুন্দর সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নিবার্চন অনুষ্টিত হয় তাহলে এখানে অব্যশই যোগ্য, সৎ ও যারা সব সময় অসহায় গরিব সাধারন জনগনের বিপদে-পাশে থাকবে তাদেরকেই নির্বাচিত করবে ভোটাররা। তবে তাদের মতে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এখানে নতুন মুখ বিজয়ী হওয়ার আবাস পাওয়া যাচ্ছে ভোটারদের মাঝে।

চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মুঞ্জুরুল হক মুঞ্জু বলেন, ময়মনসিংহ জেলার সদর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের মধ্যে কুষ্টিয়া ইউনিয়নের অনেক সাধারণ মানুষ এখনো সাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। শিক্ষা ও যাতায়াত ব্যবস্থায় রয়েছে অনেকটা পিছিয়ে। বিগত সময়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সাধারন জনগনের ভোটে নির্বাচিত একাধিক চেয়ানম্যানগন তাদের দীর্ঘ দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে বিভিন্ন রকম অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে জনগনের টাকা লুটপাট করেছেন। এসব অনিয়ম-দুর্নীতির কারনেই এখন সাধারণ জনগন থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পরেছে তারা।

তিনি আরো বলেন,আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সেইসব দুর্নীতিবাজ ও অদ্য ব্যাক্তিদেরকে ইউনিয়নের সচেতন জনগন তাদের প্রতিনিধি হিসেব আর দেখতে চায় না। এখানে সকল পর্যায়ের উন্নয়ন কর্মকান্ডে গতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে হলে দক্ষ ও তরুণ নেতৃত্বের প্রয়োজন। ইউনিয়নের মানুষ এখন আগের চেয়ে অনেকটাই সচেতন হয়েছেন। আসন্ন নির্বাচনে ইউনিয়নের সাধারন সচেতন নাগরিকগন একজন শিক্ষিত, দক্ষতাসম্পন্ন, যোগ্য ও সৎ ব্যাক্তিকে তাদের প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত করবেন।

মুঞ্জুরুল হক মুঞ্জু বলেন, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় বারের মতো আমি প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। জনবিচ্ছিন্ন নয়, এখানের সকল শ্রেনী পেশার সাধারন মানুষের দোয়া ও আন্তরিক ভালবাসা এবং তাদের আস্থা অর্জনের মাধ্যমেই নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে একজন জনবান্ধব জনপ্রতিনিধি হিসেব জনগনের ন্যায্য অধিকার তাদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এলাকার সাধারন জনগন তাদের পবিত্র আমানত মহামূল্যবান ভোট দিয়ে আমাকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করলে, জনগনের সেবক হিসেবে সততা ও দক্ষতার সাথে নিজের ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ইউনিয়নের সকল শ্রেণী পেশার মানুষের মৌলিক অধিকার আদায়ে সক্ষম হবো বলে আমি আশাবাদী। নির্বাচিত হলে সাধারন জনগনের গুরু দায়িত্বে সততা ও নিষ্ঠার সাথে পালনের মাধ্যমে অসহায় গরিব মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে আমি কাজ করে যাবো ইনশাআল্লাহ।