ময়মনসিংহ সদরে জমি নিয়ে বিরোধ দুই ভাইয়ের হামলায় বোন হাসপাতালে

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ ময়মনসিংহের সদরে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে বোনকে লোহার শাবল  দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ উঠেছে আপন দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সদরের চরনিলক্ষিয়া  ইউনিয়নের মহজমপুর গ্রামে।

গত রবিবার (৪ঠা জুন) সকালের দিকে মহজমপুর গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের দুই ছেলে সবুজ( ৩৮) ও ইমরান (২১) দুই ভাই ঐক্য হয়ে বোন সাথী আক্তার (৩৫) কে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে লোহার শাবল দিয়ে এলোপাতাড়ি  আঘাত করে। ভাইদের সাথে পৈত্রিক ওয়ারিশান সম্পদ নিয়ে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয় সাথীর।

অভিযোক্ত সবুজ সাথীর বড় ভাই ও ইমরান ছোট ভাই হয়। সাথীর অভিযোগ-বাবার ওয়ারিশ হিসাবে প্রাপ্ত জমি আপন  ভাই সবুজ ও ইমরান মিলে  তাকে যে জায়গাটুকু ঘর তুলার জন্য দেওয়া হয়েছিলো সে জায়গাও জোরপূর্বক দখলে নেওয়ার পায়তারা করছে।

বর্তমানে সাথী  ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে  চিকিৎসাধীন আছেন। এ হামলার ঘটনায় আহত সাথী বাদী হয়ে ২ জনকে আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করছেন।

ভুক্তভোগী ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আহত সাথী আক্তার কে তার পিতা মৃত আব্দুল জলিল  মহজমপুর  মৌজায় ৪ শতাংশ জায়গা মৌখিকভাবে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে। উক্ত জায়গা বর্তনানে মুল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় দুই ভাই সবুজ ও ইমরান প্রতারণা করে সাক্ষর নিয়ে অন্যত্র বিক্রি করে দেয়। পরে এব্যাপারে সাথী স্থানীয় গণ্যমান্যদের অবগত করলে গণ্যমান্যদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাদের বাড়ীর পাশে সাথীকে ৪শতক জায়গা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলে তাকে দেওয়া হয় ৩শতক জমি। এই জমির সাথেই আরো ১শতক জমি দেওয়ার কথা হলে সেই জমিও বিক্রি করে দিলে ক্রেতা সেখানে গিয়ে দখলে নিতে চাইলে সাথী বাধা প্রদান করায় দু’ভাই সবুজ ও ইমরান  মিলে বোন সাথীকে লোহার শাবল দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করলে সে মারাত্মক ভাবে আহত হয়।

এ জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে গত রবিবার সবুজ ও ইমরান বোন সাথী ও তার পরিবারের উপর হামলা চালায়। পরে কোতোয়ালী মডেল থানার একজন সাব ইন্সপেক্টর গিয়ে আহত সাথীকে দুই ভাইয়ের কবল থেকে রক্ষা করে। এ হামলার ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে সাথী আক্তারকে তার স্বামী চিকিৎসার ব্যবস্থা করলে  বর্তমানে সাথী ময়মনসিংহ মেডিকেল  হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। সাথী অভিযোগ করেন অভিযুক্তরা তাকে প্রয়োজনে  মারধর ও হত্যা  করাসহ  বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধমকি দিয়ে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে কোতুয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ বলেন, বাদীর লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।