স্টাফ রিপোর্টারঃ ময়মনসিংহ জোনাল সেটেলমেন্ট রেকর্ড রুম অফিসের সামনে ছোট একটি খাবার হোটেলের সামনে চেয়ার টেবিল নিয়ে বসে থাকেন মোঃ জুয়েল (অফিসে কাজে আসা লোকজনের কাছে দালাল জুয়েল নামেই পরিচিত) জুয়েলের বাড়ী ময়মনসিংহ শহরের আকুয়া এলাকায় বলে জানাযায়। জুয়েল স্হানীয় এবং প্রভাবশালী হওয়ায় দালাল সিন্ডিকেটের বস বনে গেছেন।
জুয়েলের কথাই এখানে শেষ কথা। সে যা বলে তার কথার উপর অন্যকেউ কোন কথা বলার সাহস পায়না। কেননা তার রয়েছে একদল সন্ত্রাস বাহিনী, তার বিপক্ষে কেউ কথা বললেই তাদেরকে ধরে নিয়ে গিয়ে তার বাহিনী দিয়ে শারিরিক নির্যাতন করা হয়ে থাকে।
ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ জোনাল সেটেলমেন্ট রেকর্ড রুমের সামনে আসার পরই শুরু হয় জুয়েলের খেলা।
প্রথমে তার লোকজন সেবা নিতে আসা লোকদের সাথে কথা বলে এবং কেন এসেছে তা জানতে চায়।
কাজে আসা লোকজন কথা বললেন তো বিপদ ডেকে আনলেন! এরপর পর্চার নকল তুলতে হবে তাকে দিয়েই এবং প্রতি পর্চার খসড়া তুলতে তাকে দিতে হবে ৫০০/ ৬০০ টাকা। তাকে বা তার লোকজন দিয়ে পর্চা না তুললে এই অফিস থেকে আর পর্চা তুলতে পারবেনা বা অফিসাররাও এই পর্চার খসড়া দেননা। কারণ বস জুয়েল / দালাল জুয়েলের কথার বাহিরে কেউ কোন কাজ করেনা, আর করলেই তাকে শারিরিক ভাবে লাঞ্চিত করা হয়। সে যেই হউক সেবা প্রার্থী কিংবা অফিস স্টাফ।
মুক্তাগাছা থেকে আসা এক ভুক্তভোগী এই প্রতিবেদককে জানান, আমি তাকে পর্চা তুলে দিতে বলিনাই শুধু কথা বলেছিলাম আর এই কথা বলার জন্যই আমাকে শেষ পর্যন্ত ৫০০ টাকা দিতে হয়েছে। আমি যদি টাকা না দিতাম তাহলে আমার বিচার করবে বলে হুমকি দিচ্ছিল সে। এমনকি আমি অফিসের ভিতরে ডুকে পড়েছিলাম বলে আমাকে টেনে হিছড়ে বাহিরে আনার চেষ্টা করে এবং শারিরিক ভাবে লাঞ্চিত করে। তারপর ৫০০ টাকা দিয়ে কোন রকমে অফিস থেকে বের হয়ে আসতে পারি।
দালাল জুয়েল উচ্চস্বরে বলে থাকেন সে ময়মনসিংহের স্হানীয় এবং কোটি কোটি টাকার মালিক, প্রসাশনেও তার হাত রয়েছে এমনকি ময়মনসিংহের কোন এক বড় সাংবাদিক তার চাচা। তাই কেউ তার কিছু করতে পারবেনা।
ধারাবাহিক ০১__ চলবে………