চিকিৎসায় অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ ওঠার পর ময়মনসিংহ শহরে একটি বেসরকারি হাসপাতাল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন সিভিল সার্জন। বুধবার (৩০ জানুয়ারি) ‘পরশ প্রাইভেট হাসপাতাল’ নামের ওই প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দেন ময়মনসিংহের সিভিল সার্জন ডা. একেএম আব্দুর রউফ।
একেএম আব্দুর রউফ বলেন, ‘গাফিলতি ও অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। স্বাস্থ্য বিভাগের সিদ্ধান্তে রোগী ভর্তি না করার নির্দেশনাসহ ওই হাসপাতাল বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’ তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, নবজাতক মৃত্যুর ১০ দিন পরও মামলার প্রধান আসামি ডা. শিশিরকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে গ্রেফতার হওয়া বাকি পাঁচ আসামি স্টাফ নার্স অলিম্পিয়া (৩০), রেজাউল কবির মুরাদ (৪৪), আরিফুর রহমান জনি (৩২), আজাহার মাহমুদ জুয়েল (৩০) ও মেহেদি হাসান (৩৩) আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন।
কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনসুর আহমেদ জানান, মামলার প্রধান আসামি পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।
গত ২০ জানুয়ারি ময়মনসিংহ সদরের কিসমত গ্রামের হারুন অর রশিদের স্ত্রী জান্নাত বেগম প্রসবব্যথা নিয়ে মহানগরীর কৃষ্টপুর আলিয়া মাদরাসা রোডের পরশ প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি হন। কোনও পরীক্ষানিরীক্ষা না করেই রাত ১২টার সময় সিজারের মাধ্যমে এক পুত্রসন্তানের জন্ম দেন জান্নাত। এর আধা ঘণ্টা পর পরিবারের হাতে মৃত পুত্র সন্তান তুলে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। জান্নাত ও তার পরিবারের সদস্যদের দাবি, মৃত ওই সন্তানের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন ছিল। পর দিন ২১ জানুয়ারি হারুন অর রশিদ বাদী হয়ে চিকিৎসকসহ ৬ জনকে আসামি করে কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ময়মনসিংহ প্রতিদিন