ত্রিশাল প্রতিদিন ডেস্কঃ ময়মনসিংহের ব্রাহ্মপল্লীতে চিকিৎসকের গাফিলতি ও ভুল চিকিৎসায় গৃহবধূসহ যমজ দুই বাচ্চার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। ত্রিশাল উপজেলার বালিপাড়া গ্রামের ১৩ সপ্তাহের অন্তঃসত্বা গৃহবধূ রেখা আক্তার ও তার দুই জমজ শিশু মারা যায় শুক্রবার ভোরে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে কিডনীর পাথর অপারেশনের সময় গৃহবধূ রেখা আক্তার এই ভুল চিকিৎসার শিকার হন বলে স্বজনদের অভিযোগ।
অভিযোগের ভিত্তিতে কিছু নড়েচড়ে বসেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা প্রশাসনসহ পুলিশ প্রশাসন।শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) সকালে জেলা সিভিল সার্জন ডা. নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য বিভাগের একটি টিম নগরীর ব্রাহ্মপল্লী এলাকার ‘পেশেন্ট কেয়ার হাসপাতাল’ সিলগালা করে দিয়েছেন। এই প্রতিষ্ঠানটি ব্যবসায়ী রফিকের মালিকানাধীন বলে জানা যায়।
সিভিল সার্জন ডা. নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, হাসপাতালটির কোন অনুমোদন নেই। এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ময়মনসিংহ স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালকের কার্যালয়ের উপ পরিচালক ডা.আব্দুল কদ্দুছকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে, জেলা প্রশাসনের উদ্যোগেও শনিবার আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজার রহমান। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটকে প্রধান করে সাথে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও ময়মনসিংহের ডেপুটি সিভিল সার্জনকে নিয়ে ০৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
হাসপাতালটির মালিক ও চিকিৎসকসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে শুক্রবার রাতে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন গৃহবধূ রেখার স্বামী মাহবুব আলম। পুলিশ হাসপাতাল মালিক রফিক ও অমিতসহ দায়ী চিকিৎসক আশরাফুল হক মোল্লা ও এনেসথেসিওলজিস্ট ডা. আরিফ রব্বানী এবং দুই দালাল মেহেদী ও তারেক মিয়াকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালাচ্ছে।
উলেক্ষ্য অনুমোদনহীন এমন অনেক প্রাইভেট হাসপাতাল সিভিল সার্জন অফিসে আদেশেই হচ্ছে এটা নতুন নয়।শুধু অভিযোগ বা অন্তর দন্দের পরে বলা হয় এটার এ সমস্যা কোন অনুমোদন ছিল না। কিন্তু আমাদের প্রশ্ন এত গুরুত্বপূর্ণ একটি সেক্টর কেন খবর রাখেন না অনুমোদনহীন একটা মানুষ মারার কারখানা এখানে বিদ্ধ্যমান। ময়মনসিংহ নগরীতে স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমোদন ছাড়াই চলছে এরকম অসংখ্য বেসরকারী প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক, ল্যাব যা জেনে না জানার গল্প কতদিন ?