ষ্টাফ রিপোর্টারঃ ময়মনসিংহ সদর উপজেলায় অপহরণের এক সপ্তাহ হতে চললেও উদ্ধার হয়নি অপহৃত শিশু। গত ১৪ জানুয়ারী শুক্রবার সন্ধ্যায় মাহমুদুল (৩) নামে এক শিশুকে অপহরণ করা হয়।
এব্যাপারে অপহৃত শিশুর বাবা আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে গফরগাঁও উপজেলার কাঠালি ডিঙা এলাকার কুশাপর গ্রামের শরিফা বেগম (৩২),সাজউদ্দীন (৪০) ইসমাইল হোসেন নামে ৩জনকে আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ ঘটনার মূল হোতা সাজউদ্দীন (৪০) ইসমাইল হোসেন কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বাদী আনোয়ার হোসেন জানান- তার নিজ বাড়ীও গফরগাঁও উপজেলার কাঠালি ডিঙা এলাকার কুশাপর গ্রামে। আসামিদের সাথে তাদের পুর্ব বিরোধ থাকায় ঘটনার মূল হোতা সাজউদ্দীন (৪০) ইসমাইল হোসেনের পরামর্শ মোতাবেক ১নং আসামী শরিফা বেগম তার বর্তমান ঠিকানা ময়মনসিংহ সদর উপজেলার ভাবখালী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বাদশার চর এলাকাস্থ বাড়ীতেন গত ১১তারিখ বেড়াতে এসে সুযোগের অপেক্ষা থেকে ঘটনার দিন ১৪জানুয়ারী সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৫টায় তার ছেলে মাহমুদুল আল হোসাইন (৩) সকলের অগোচরে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে ছেলে মাহমুদুল ও মেহমান শরিফাকে বাড়ীতে কোথাও খোজাখুজি করে না পেয়ে বুঝতে পারে শরিফা পূর্বপরিকল্পিত ভাবে বেড়ানোর নাটক সাজিয়ে তার ছেলেকে অপহরণ করে নিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত শিশুটিকে উদ্ধার না করতে পারায় জনমনে চরম হতাশা ও সমালোচনার দেখা দিয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি মডেল থানার সাব ইন্সপেক্টর এসআই তাইজুল ইসলাম জানান, অপহরণকারীর সাথে জরিত সন্ধেহে সাজউদ্দীন (৪০) ইসমাইল হোসেন নামে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।মুল আসামী শরিফাকেও গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার পক্রিয়া চলছে। তাকে আটক করা গেলেই অপহরণের কারণ জানা এবং অপহৃতকে উদ্ধার করা যাবে বলে জানান তিনি।
মুল অপহরণকারী শরিফা বেগমকে আইনের আওতায় এনে শিশু মাহমুদুল কে ফিরে পেতে দেশবাসীর সার্বিক সহযোগীতা চেয়েছেন অপহৃত শিশু মাহমুদুল আল হোসাইন এর বাবা বাদী আনোয়ার হোসেন।