ত্রিশাল প্রতিদিন ডেস্ক:গত ১২ জানুয়ারি টিটিসিতে বহিরাগত শিক্ষার্থী মেহের জাবিন ঝুনুর উপর হামলার অভিযোগ এনে কলেজ ভিপি রাসেল পাঠানের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটিকে ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার কথা বলে ১৫ জানুয়ারি পরীক্ষা চালু রেখে কলেজ হোস্টেল অনিদৃষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষনা করেন প্রিন্সিপাল। এর ১৮ দিন পর পরীক্ষা স্থগিত ও হোস্টেল খুলে দেয়ার দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ হয় আজ।
টিচার্স ট্রেনিং কলেজের হোস্টেলে থেকে পড়ালেখা করছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের শিক্ষার্থী। বহিরাগত শিক্ষার্থী হামলার কারণে কলেজ প্রশাসন কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল বন্ধ ঘোষনা করেছে। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের ইনকোর্স পরীক্ষা চাচ্ছেন কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীরা রাস্তায়, ষ্টেশনে, বিভিন্ন যায়গায় থেকে কি করে পরীক্ষা দিবে।যাদের ময়মনসিংহে নেই দ্বিতীয় আশ্রয়স্থল ও থাকার জায়গা। তাদের অবস্থার কথা চিন্তা করেই বিক্ষোভ সৃষ্টি করেছে শিক্ষার্থীরা।শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, কলেজের সাবেক ভিপি ফাহীম টিটিসিতে অস্থিরতা সৃষ্টি করে রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। সে তার শ্যালিকার পক্ষে হলে ত্রাসের আধিপত্য চালাতে তৎপর।
শনিবার (২ ফেব্রয়ারি) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ময়মনসিংহ সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের হোস্টেল খুলে দেয়ার দাবিতে প্রিন্সিপালের কক্ষ অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করেছে।
শিক্ষার্থীরা সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত বিক্ষোভ করে। এরপর কলেজের প্রিন্সিপাল প্রফেসর এ কে এম নাছির উদ্দীনের সঙ্গে কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি রাসেল পাঠান, শিক্ষক, প্রশাসনের প্রায় ২ ঘন্টা আলোচনা হয়। পরে প্রিন্সিাপাল আগামী ৪ ফেব্রয়ারি শিক্ষক মিটিংএ হল খুলে দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা বলেন শিক্ষার্থীদের। একই সাথে চলমান ইনকোর্স পরীক্ষা স্থগিত ঘোষনা করেন তিনি।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, হোস্টেলে অবৈধ একজন শিক্ষার্থীর অরাজকতায় আজ সকল ছাত্র ছাত্রীর মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে। রংপুর, রাজশাহী, দিনাজপুর, চিটাগাং থেকে আসা অনেক শিক্ষার্থী অনিশ্চয়তার মধ্যে ময়মনসিংহ শহরে বিভিন্ন স্থানে থেকে সিদ্ধান্ত হীনতায় দিন কাটাচ্ছে।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, টিটিসির সাবেক নেতার শ্যালিকা ঝুনুর বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর অভিযোগ ও অস্থিরতায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। তারা অবিলম্বে হোস্টেলে অবৈধভাবে অবস্থান করা ও ছাত্র রাজনীতিতে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী, কোটা আন্দোলনে সক্রিয় নেত্রী ঝুনুর বহিস্কার দাবি করেন।