স্টাফ রিপোর্টারঃ মুক্তাগাছায় অভিনব কায়দায় জমি জবরদখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে আব্দুল কাদির গং এর বিরুদ্ধে । জানাগেছে, মানকোন ইউনিয়নের চরআধ পাখিয়া এলাকার মৃত সৈয়দ আলী সরকারের পুত্র সাজাদুল করিমের ভোগদখল কৃত ও পৈত্রিকসূত্রে পাওয়া জমি জবরদখলের চেষ্টা করে যাচ্ছে আব্দুল কাদির গং ।
স্থানীয়সূত্রে আরো জানাযায়, উক্ত জমি দখলে নিতে জমির সীমানা প্রাচীর ভেংগেফেলে ও জমির তফসিল সম্বলিত সাইনবোর্ড তুলে ভেংগে ফেলেদেয়। এছাড়াও সাজাদুল করিমের কেয়ারটেকার মোখলেস ওরফে মক্কু মিয়াকে হুমকি প্রদান করা হয়। হুমকির পাশাপাশি থানায় অভিযোগ এবং অভিযোগের পর তদন্ত কর্মকর্তাকে তদন্ত না করার অনুরোধ করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে জানানো হয় স্থানীয়ভাবে শালিসের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হবে তাই তদন্তের প্রয়োজন নেই। অতঃপর সাজানো শালিসের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে রায় দেওয়া হয় কাদির গং এর পক্ষে। উক্ত শালিসের রায়কে বাস্তবায়ন করতে জমির মালিককে না ডেকে হাজির করা হয় তার বড় ভাইকে। সাজানো শালিসের পরিকল্পিত রায় চাপিয়ে দেওয়া হয় সাজাদুল করিমের বড় ভাইসামছুল হক এর উপর।
এবিষয়ে সাজাদুল করিম জানান, মুক্তাগাছা উপজেলার চরআধপাখিয়া মৌজার বিএস ৪৫৮ খতিয়ানের ২৪০ ও ২৪১ দাগে তার পৈত্রিক ওয়ারিশ সুত্রে ভোগদখলীয় জায়গা ২২ জুলাই দুপুরে প্রতিপক্ষ মো. আব্দুল কাদির ও মো. আব্দুল খালেক দলবল নিয়ে দখল করতে আসেন। এসময় জমির সীমানা প্রাচীর ভেংগেফেলে ও জমির তফসিল সম্বলিত সাইনবোর্ড তুলে ভেংগে ফেলেদেয়। তার কেয়ারটেকার মোখলেস ওরফে মক্কু মিয়া বাধা দিলে প্রতিপক্ষ তাকে হুমকি দিয়ে বলে বাধা দিলে এখানে লাশ পড়বে, থানা-পুলিশকে ম্যানেজ করেই তারা মাঠে নেমেছেন। জমি দখলে কেউ বাঁধা দিলে মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে এবং রাতের মধ্যেই পুলিশ তাকে তুলে নিয়ে যাবে। পরদিনই মোঃ আব্দুল কাদির, মোঃ আব্দুল খালেক ও তার দলবল নিয়ে তার জমির সীমানা প্রাচীর ভেঙে, গাছ কেটে রাস্তা তৈরি করে। এই বিষয়ে এলাকার বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। সাজাদুল করিম বলেন, আমাদের সঙ্গে অন্যায় হয়েছে। প্রায় ৫০ বছর ধরে ভোগদখল করে আসা সরকারি রেকর্ড ও জমা খারিজ কৃত পৈত্রিক সম্পত্তি জোর করে দখল করার চেষ্টা খুবই অন্যায়।
সাজাদুল করিম আরো জানান, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তিনি উপজেলা নি্বাহী অফিসার কে অবহিত করলে ইউএনও আব্দুল্লাহ মনসুর তাকে আইনি সেবা নেওয়ার পরামর্শ দেন।
ভুক্তভোগীর নামে থানায় অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোঃ আরিফ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান বাদীপক্ষ অভিযোগ করার পর তদন্তে যাওয়ার কথা থাকলেও তারা পরবর্তীতে নিজেরা আপোষ মিমাংসা করে নিবে ও অভিযোগ তুলে নিবে বলে জানান। উল্লেখ্য, প্রাপ্ত তথ্যসূত্র মতে আব্দুল কাদির গং প্রথমে গাছ কাটার পর থানায় মিথ্যা অভিযোগ করেন। এছাড়াও পুলিশ সদস্যদের ম্যানেজ করার পাশাপাশি সাজানো শালিসি রায়ে জমি দখলের বৈধতা পান। গুঞ্জন রয়েছে মুক্তাগাছা উপজেলা জুড়েই রমরমা শালিসি বানিজ্য চলছে। টাকার পাল্লা যে দিকে ভারী হবে শালিসি রায় ও সেদিকেই যায়। এমন অভিনব কায়দায় একাধিক জায়গায় জমি দখল হলেও বা চেষ্টা করলেও এবারই প্রথম তা জনসম্মুখে আসল। এমতাবস্থায় সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা গ্রহণ এবং দোষীদের আইনের আওতায় আনা উচিত বলে মনে করেন সচেতন মহল।