তুরা নদীর পাশে আরও আছে খ্রিষ্টানদের উপসানালয়, ছোট একটি চিকিৎসা কেন্দ্র, বিদ্যালয় ও শিক্ষার্থীদের থাকার আবাসিক হোস্টেল। প্রকৃতির সান্নিধ্য পাওয়ার পাশাপাশি মেঘ ও পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য দেখার জন্য প্রতি বছর দূর দূরান্ত থেকে অসংখ্য প্রকৃতিপ্রেমী পর্যটকরা এই জায়গায় ঘুরতে আসে।
কিভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে শেরপুর জেলা শহরে না এসে নকলা উপজেলা থেকে নালিতাবাড়ি হয়ে পানিহাটা-তারানি পাহাড় যাওয়া বেশী সুবিধাজনক। শেরপুর জেলা থেকে ২৫ কিলোমিটার এবং নালিতাবাড়ি উপজেলা থেকে প্রায় ১৯ কিলোমিটার দূরে পানিহাটা-তারানি পাহাড়ের অবস্থান। নালিতাবাড়ির গড়কান্দা চৌরাস্তা মোড় থেকে নাকুগাঁও স্থলবন্দরের কাছাকাছি গিয়ে পূর্ব দিকে মোড় নিয়ে ভোগাই ব্রিজ পাড় দিতে হবে। এরপর পূর্ব দিক থেকে ৩ কিলোমিটার এগিয়ে চায়না মোড় থেকে উত্তরের রাস্তা ধরে মাত্র ১ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিলেই পানিহাটা-তারানি পাহাড়ের মূল পয়েন্টে যেতে পারবেন।
নালিতাবাড়ি বা শেরপুরের কয়েকটি আবাসিক হোটেল রয়েছে। নালিতাবাড়িতে অবস্থিত হোটেল মিথুন ইন, নালিতাবাড়ি গেস্ট হাউজ এবং শেরপুরে হোটেল আরাফাত, কাকলি গেস্ট হাউজ, বর্ণালী গেস্ট হাউজ, মোলস্না গেস্ট হাউজ ও হাসেম গেস্ট হাউজ অন্যতম।নালিতাবাড়িতে হোটেল সেহের মল্লিক, ভেট্টো রেস্টুরেন্ট ও হোটেল সৌদিয়া নামের খাবার হোটেল রয়েছে। এছাড়া শেরপুরের নিউ মার্কেট এলাকায় বিভিন্ন মানের খাবারের হোটেল ও রেস্টুরেন্ট পাবেন।
শেরপুরের আরো দর্শনীয় স্থান
শেরপুরের দর্শনীয় স্থানের মধ্যে মাইসাহেবা জামে মসজিদ, রাজার পাহাড়, মধুটিলা ইকোপার্ক ও গজনী অবকাশ কেন্দ্র অন্যতম।