নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় উথুরা ইউনিয়ন ধলিকুড়ি আওয়ামীলীগের সম্মেলনে উপস্থিত ভোটারদের সমর্থন ছাড়াই এক পক্ষকে সভাপতির নাম ঘোষণা করায় সংঘর্ষ ও প্রতিবাদ মিছিল হয়েছে।
১৮নভেম্বর সকালে উথুরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ২নং ধলিকুড়ি ওয়ার্ড অাওয়ামীলীগের সম্মেলনের আয়োজন করেন। সভাপতি পদে ২জন সাধারণ সম্পাদক পদে ৩জন প্রার্থী হন। প্রার্থীরা হলেন, সভাপতি পদে১। আব্দুছ ছামাদ ২। নছিমদ্দিন । সাধারণ সম্পাদক পদে ১। গোলাম মোরশেদ ২। ইজাজুল হক ৩। আজিজুল হক মনির। এরা ইউনিয়ন কমিটি র কাছ থেকে মনোনয়ন ফরম কিনে ২৮৮জন ভোটার তালিকা হাতে নিয়ে দীর্ঘদিন নির্বাচন করে আসছিল। ১৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় স্বাক্ষর বিহীন আরেকটি ভোটার তালিকা প্রার্থীদের হাতে তুলে দেন।
নতুন ভোটার তালিকা হাতে পেয়ে প্রার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ১৮ তারিখ সম্মেলনে ইউনিয়নের নেতারা সম্মেলনের জন্য কেন্দ্র গেলে প্রার্থীদের মাঝে চরম ক্ষোভ দেখা দেয়।
সম্মেলন স্থান ধলিকুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে পক্ষে বিপক্ষে শত শত আওয়ামীলীগের কর্মী সমর্থক হই-হুল্লোল দেখা দিলে ইউনিয়ন কমিটির নেতারা বিনা সম্মেলনে কারো মতামত না নিয়ে আব্দুছ ছামাদকে সভাপতি নাম নির্বাচন ঘোষণা করেন। তাদের ঘোষণা পেয়ে সম্মেলন মাঠ প্রতিবাদে মিছিল শুরু হয়। এক পর্যায়ে পক্ষ-বিপক্ষে সংঘর্ষ শুরু হয় এবং তাদের দাবী সম্মেলনের ভোট গ্রহনের মাধ্যমে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের নেতা নির্বাচন করতে হবে।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি শামসুল হক চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে, মারামারির সময় আমি ছিলাম না আমি সভাপতির নাম ঘোষণা করে সম্মেলন ত্যাগ করেছি। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ডাঃ বীরমুক্তিযোদ্ধা আলী আকবর জানান, আওয়ামীলীগের সম্মেলনে নির্বাচনের নিয়ম নেই তাই সভাপতির নাম ঘোষণা করেছি।
ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে আমরা পরে চিন্তা করবো। উথুরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সম্মেলন দায়িত্বপ্রাপ্ত সাতজন মিলে সভাপতির নাম ঘোষণা করিয়ে সম্মেলন কার্যক্রম সমাপ্ত ঘোষণা করেন।