স্টাফ রিপোর্টারঃ ফুলবাড়িয়ায় বেপরোয়া হয়ে উঠছেন যুবলীগ নেতা সানোয়ার জাহান সুমন। চাঁদাবাজি ,টাকার বিনিময়ে ভূমি দখলসহ একাধিক অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
সানোয়ার জাহান সুমন ফুলবাড়িয়া উপজেলার ৯নং এনায়েতপুর ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক।
জানাযায়, ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন যুবলীগের এই নেতা।স্হানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু সিনিয়র নেতৃবৃন্দ এমনকি সাধারণ মানুষের অসৌজন্য মূলক আচরণ তার নিত্যদিনের ঘটনা।এছাড়াও তার অনুগত ২০/২৫ জন লোক নিয়ে গঠন করেছেন তার নামে সুমন বাহিনী। সুমন বাহিনীর কাজ হচ্ছে ধারালো অস্ত্র নিয়ে গিয়ে জমি দখল করে দেওয়া এবং নিজেদের প্রভাব বিস্তার করার জন্য মারামারি দাঙ্গা হাঙ্গামা করা।এর মধ্যে তার বাহিনী সুমন বাহিনী হিসেবে এলাকায় পরিচিতিও লাভ করেছে। সুমন বাহিনীর ভয়ে প্রকাশ্যে তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস পায়না।
সানোয়ার জাহান সুমন বাহিনীর ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে কেউ বলার সাহস না পাওয়ার সুযোগটা কাজে লাগিয়ে দখল করেন সিপি থেকে মুরগির বিষ্ঠা বহন করে নিয়ে যাওয়া গাড়ী গুলো থেকে চাঁদা উত্তোলন।
পরিবহণ থেকে প্রতি রাতে ১০ হাজার টাকার অধিক চাঁদা আদায় করেন যুবলীগের এই নেতা।প্রতিটি গাড়ি থেকে চাঁদা আদায়ের জন্য লোক নিয়োগ করা হয়েছে, যার কাজ রাত ১০ টার পর থেকে সিপি থেকে বের হওয়া গাড়ি গুলো থেকে চাঁদা আদায় করা।এই গাড়ি গুলো মুরগির বিষ্ঠা নিয়ে ভালুকার বিভিন্ন ফিসারিতে দিয়ে আসেন বলেও জানাগেছে।আর প্রতিটি মলম গাড়ি থেকে ৩০০ টাকা এবং ট্রাক থেকে ৫০০ টাকা করে আদায় করে থাকেন। প্রতিরাতে ৩০ টি গাড়ি থেকে চাঁদা আদায় করা হয়।
মুরগির বিষ্ঠা বহন করা গাড়ি গুলো যাতায়াত করার সময় বিষ্ঠার দূর্গন্ধে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি এলাকার মানুষ বিভিন্ন ধরণের কঠিন রোগের স্বীকার হচ্ছেন। সিপি গুলোতে বায়ু গ্যাস করার নিয়ম থাকলেও তা না মানায় পরিবেশ দূষণ ও বিভিন্ন ধরণের রোগের স্বীকার হচ্ছে এলাকাবাসী।
সচেতন মহলের দাবী স্হানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিবেশ দূষণ বন্ধ হবে এবং সাধারণ মানুষও রোগব্যাধি থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পাবে। অপরদিকে যুবলীগ নেতা সানোয়ার জাহান সুমনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক ভাবে বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করার দাবীও জানান সচেতন মহল এবং এলাকাবাসী।
মাদক ও ভূমি দখল নিয়ে ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হবে পরবর্তী নিউজে………