বিশ্বখ্যাত স্পোর্টস বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ‘নাইকি’র ওপর ভীষণ ক্ষেপেছেন মুসলিমরা। কারণ, এ কোম্পানির এয়ার ম্যাক্স ব্রান্ডের জুতায় একটি লেখা।
ওই লেখাটি আরবিতে হুবহু ‘আল্লাহ’-এর মতো। এই ব্রান্ডের জুতার সোলে অর্থাৎ নিচে ওই লেখার কারণে মুসলিমদের মধ্যে প্রচণ্ড ক্ষোভ থেকে তা বিক্রি বন্ধ করতে আহ্বান জানানো হয়েছে নাইকির প্রতি। এ খবর দিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার অনলাইন জাকার্তা পোস্ট।
মুসলিমরা এ জন্য ওই ব্রান্ডের সব জুতা বাজার থেকে প্রত্যাহার করে নিতে আহ্বান জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, এই লেখার মাধ্যমে ইসলামকে অবমাননা করা হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার একজন মুসলিম ক্রেতা সাইগা নরিন প্রথমে বিষয়টি টের পান।
তিনি ওই জুতা কিনতে গিয়ে দেখতে পান তার তলায় আরবী ‘আল্লাহ’ শব্দটি পরিষ্কার লেখা রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি অনলাইনে পিটিশন করেন। তাতে ওই কোম্পানিকে বিশ্ব বাজার থেকে এই জুতা প্রত্যাহার করে নেয়ার আহ্বান জানান। এমন লেখার মাধ্যমে নাইকি ইসলামের বিরুদ্ধে অসম্মান দেখাচ্ছে বলে তিনি পিটিশনে দাবি করেন।
তিনি লিখেছেন, জুতায় আল্লাহর নাম লেখা রয়েছে। এটা প্রচন্ড ক্ষোভের বিষয়। নাইকি যে এভাবে আল্লাহর নাম ব্যবহার করতে দিয়েছে, বিষয়টি আতঙ্কজনক। এটা মুসলিমদের প্রতি চরম অসম্মান ও আক্রমণাত্মক।
এ ছাড়া এর মাধ্যমে ইসলামের অবমাননা করা হয়েছে। নরিন আরো লিখেছেন, নাইকি বাজারে ছেড়েছে নাইকি এয়ার ম্যাক্স ২৭০ জুতা। এতে যে সোল ব্যবহার করা হয়েছে সেখানে তারা লোগো ব্যবহার করেছে, যা একেবারে আরবি আল্লাহ শব্দটির সঙ্গে মিলে যায়।
যা অবশ্যই পদদলিত হবে, লাথি দেয়া হবে, কর্দমাক্ত হবে এমন কি বিশ্বাসে আঘাত করা হবে। তার সঙ্গে একমত হতে সব মুসলিমের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি ওই পিটিশনে স্বাক্ষর করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ১২৫০০ মানুষ তাতে স্বাক্ষর করেছেন। নরিনের টার্গেট ১৫০০০ মানুষের স্বাক্ষর সংগ্রহ করা। তাকে সমর্থন করেন এমন অনেকে টুইটারে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেছেন, নাইকি ইচ্ছা করে ধর্ম অবমাননা করার জন্য এরকম পণ্য তৈরি করেছে।
একজন ক্ষুব্ধ মুসলিম লিখেছেন, যাতে পরিষ্কারভাবে আল্লাহ শব্দটি লেখা রয়েছে তা কি করে নাইকি বিক্রির জন্য এভাবে পাঠাতে পারে। সব জুতা প্রত্যাহার করে নিন। বিষয়টি বিরক্তিকর ও আতঙ্কজনক।
তবে মুসলিম সম্প্রদায়কে আহত করার উদ্দেশে এমন লোগো ব্যবহার করার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে নাইকি। তারা বলেছে, এটা নাইকি এয়ার ম্যাক্সের ট্রেডমার্ক। স্টাইল করে ওইভাবে লেখা হয়েছে। এতে কোনো ধর্মীয় বিষয় নেই। শীর্ষবিন্দু