মো: কামাল (ময়মনসিংহ)::নগরীর বাতাসে মৃত্যুর গন্ধ, ভয়াভয় পরিবেশ বিপর্যয়ে ময়মনসিংহ। আজ কোথাও শান্তিতে বসবাস করার স্থান নেই। যেদিকেই তাকানো যায় সেদিকেই ধুলোয় অন্ধকার।
হাজারো বালুর ট্রাক দাপিয়ে বেড়ায় নগরজুড়ে। নগরী ও এর আশেপাশে পরিবেশ ও মানুষ ধুলো বালিতে একাকার। পরিবেশ অধিদপ্তরের নেই কোনো তদারকি। তারা কি ঝিমাই না ঘুমায়? জাতি জানতে চায়। নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর আজ সবাই বিশাল পরিবেশ দূষনের কবলে। নগরীর প্রতিটি রাস্তায় বহুতল ভবনের নির্মান সামগ্রীর মালামাল রেখে জনসাধারনের চলাচলের বিশাল বিপর্য
সেই সাথে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস রাস্তায় রেখে ফেলা রাখা হয়েছে ইট,বালু,সুরকি। এগুলি ছড়িয়ে ছিটিয়ে পরে আছে রাস্তায়। বাতাস আসলেই ধুলোয় অন্ধকার এ যেন দেখার কেউ নেই। কিন্তু বিপদ-মহাবিপদে আছি আমরা, হাসপাতালে আজ রোগীর মিছিল। পানিতেও বিপদ পাওয়া গেছে জীবাণু
এখনো নগরীর বিভিন্ন স্থানে ডাইরিয়া আক্রান্ত রোগী বাড়ছে। এসব কিছুর জন্যই দায়ী আমাদের মতো কিছু অসচেতনাকারী মানুষ। যেখানে সেখানে ময়লা, রাস্তার পাশে ফুটপাত, অবৈধ গাড়ী পার্কিং, খোলা আকাশের নিচে খাবার, নিজে সুস্থ্য থাকুন অন্যকে সুস্থ্য থাকার পরিবেশ সৃষ্টি করুন
প্রতিটি রাস্তার ড্রেন থেকে ট্রন কে ট্রন পাইলিন মাটি ও বালু উত্তোলন করছে সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মীরা। লাভ নেই যেই লাই সেই কদু। রাস্তার মাটি এবং ধুলো বৃষ্টি আসলে আবারও ড্রেনে পরবে। ড্রেনে যতগুলো ময়লা আছে তার চেয়ে বেশী আছে রাস্তার উপরে। ড্রেন পরিষ্কার নয়, আগে করুন রাস্তা পরিষ্কার। ফুটপাত ও ড্রেনের উপরে দোকান উচ্ছেদ করুন
তা না হলে সামনের বর্ষায় পানির নিচে বসবাস করতে হবে সকলের। নগরীর পাড় ঘেশে ব্রহ্মপুত্র নদ প্রতিদিন এই নদ থেকে হাজার হাজার বালুবাহী ট্রাক দিন ও রাতে চলাচল করছে ধুলো ও বালুতে একাকার। কিসমত, খাহডহর, রহমতপুর, ঢোলাদিয়া, শম্ভগঞ্জ পুরাতন গুদারাঘাট, কাচারি, কালিবাড়ী, থানারঘাট, বাড়েরা, মাসকান্দা, সুতিয়াখালী, পাওয়ার স্টেশন, এই সমস্ত স্থান দিয়ে প্রতিদিন হাজারো বালুবাহী ট্রাক চলছে
আমাদের নাকে-মূখে ধুলোবালুু ঢুকছে, সরদি-কাশিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে মৃত্যু যন্ত্রনায় ছটফট করছে কিন্তু যে দেখার সে তো দেখে না। যে শোনার সে তো শোনে না। কারন তাদের আছে এসি বাড়ি ও গাড়ি। তাদের নাকে-মূখে যায়নি ধুলা। ফলে তাদের নেই কোনো মাথা ব্যাথা
তারা কি মনে করে, যে মরার সে মরে যাক, আমরা বেঁচে থাকলেই চলে। বিশাল নগরী নতুন সিটি কর্পোরেশন। এক নেতার ইশারায় আকাশ পরিমাণ উন্নয়ন হয়েছে। এই উন্নয়ন ও সৌন্দর্য্যকে ধরে রাখতে হলে সিটি প্রশাসক মোঃ ইকরামুল হক টিটুকে সাহায্য করুন। দলমত নির্বিশেষে সকলে মিলে আসুন আমরা নিজেকে আগে পরিবর্তন করি। সিটি কর্পোরেশন ও ট্রাফিক আইন মেনে চলি তাহলেই আমরা একটি সুন্দর নগরী দেখতে পাবো সেই সাথে রোগ-জীবাণু থেকে মুক্তি পাবো।