জান্নাতুল পান্নাঃ কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বাংলাদেশে সমভূমির তুলা চাষ এলাকা ও উৎপাদন ক্রমান্বয়ে কমে যাচ্ছে। তবে সাম্প্রতিককালে হাইব্রিড ও উচ্চফলনশীল জাতের তুলা চাষ প্রবর্তনের ফলে তুলার ফলন বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন আমাদের তুলার উৎপাদন প্রায় ২ লাখ বেল। যা চাহিদার চেয়ে নগন্য। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস এসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) প্রতিনিধি দলের সাথে কৃষি মন্ত্রীর বৈঠকে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বছরে ৮ মিলিয়ন বেল তুলা আমদানি করা হয়। তুলার চেয়ে অন্যান্য ফসল লাভজনক বিধায় কৃষকরা অন্য ফসলে যাচ্ছে, এর উৎপাদন কমে যাচ্ছে। বর্তমানে তুলা উন্নয়ন বোর্ড তুলা গবেষণা, এর সম্প্রসারণ, বীজ উৎপাদন ও বিতরণ, প্রশিক্ষণ, বাজারজাতকরণ ও জিনিং এবং ঋণ বিতরণ প্রভৃতি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে। বর্তমানে সমতল এলাকার সমভূমির জাতের তুলার আবাদ হচ্ছে এবং অতি সম্প্রতি ৩টি পার্বত্য জেলাতেও পাহাড়ি জাতের পাশাপাশি সমভূমির জাতের তুলার চাষাবাদ হচ্ছে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারিখাত ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, দেশের টেক্সটাইল মিলগুলো ভালো করছে। এক সময় কাপড় ছিল আমদানি নির্ভর, আজ দেশের চাহিদার সম্পূর্ণ কাপড় দেশে তৈরি হচ্ছে। টেক্সটাইল মিলের অন্যতম উপাদান হচ্ছে তুলা। আমেরিকা, ব্রাজিল হতে তুলা আমদানি করা হয় এছাড়া ভারত ও পাকিস্তান থেকে আমদানি করা হয়।
এসময় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সনৎ কুমার সাহা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুর মুঈদ, তুলা উন্নয়ন বোর্ডে নির্বাহী পরিচালক ড. ফরিদ উদ্দিন, উদ্ভিদ সংগোনিরোধ শাখার পরিচালক ড.মো. আজাহার আলী উপস্থিত ছিলেন।
(ক্র্যাডিট-আমাদেরনতুনসময়)