আন্তর্জাতিকঃঃগত ১৫ আগস্ট কাবুলের পতন হওয়ার পর আফগানিস্তানের ক্ষমতা তালেবানের হাতে যায়। এবার তারা আগেরবারের চেয়ে নিজেদের শাসননীতিতে নমনীয়তা আনার ইঙ্গিত দেয়। তালেবান তাদের প্রতিশ্রুতি রাখবে কি না, তা নিয়ে পশ্চিমাদের মধ্যে সন্দেহ আছে। আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর তালেবান সরকার গঠনের বিষয়ে তারাহুর করেনি । কারণ তারা বলেছিল, আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের পর এ বিষয়টি নিয়ে এগোবে তারা। যেমন কথা তেমন কাজ নতুন সরকার ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছে তালেবান বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
রাজধানী কাবুলের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে নতুন সরকারের ঘোষণা দিতে। এমনটাই টুইটারে জানিয়েছেন তালেবান নেতা আহমাদুল্লাহ মুত্তাকি। আফগানিস্তানের একটি বেসরকারি টেলিভিশন জানিয়েছিল, খুব শিগগির তালেবান সরকার ঘোষণা করা হবে।
তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুনজাদারের নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে নতুন এ সরকার । গত মাসে রয়টার্সকে এমনটাই জানিয়েছেন তালেবানের এক নেতা। তাঁর অধীনে একজন প্রেসিডেন্ট থাকতে পারেন।
আখুনজাদারের তিনজন ডেপুটি আছেন। তারা হলেন,তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের ছেলে মোল্লা ইয়াকুব। মোল্লা ইয়াকুব বর্তমানে তালেবানের সামরিক শাখার দায়িত্বে আছেন। আফগান সরকারে তাঁর বড় ভূমিকা থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।আরেক জন ডেপুটি সিরাজুদ্দিন হাক্কানি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকতে পারেন । হাক্কানি নেটওয়ার্কের নেতৃত্বে আছেন তিনি। এ ছাড়া তালেবানের অন্যতম সহপ্রতিষ্ঠাতা মোল্লা আবদুল গনি বারাদারও সরকারে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে পারেন।
কাতারে তালেবানের রাজনৈতিক দপ্তরের উপপ্রধান শের আব্বাস স্ট্যানেকজাই বিবিসি পশতুকে শিগগির সরকার গঠনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি জানান, দুই দিনের মধ্যেই তালেবান সরকার ঘোষণা হতে পারে।
শের আব্বাস বলেন, সরকারের নিম্ন পর্যায়সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীরা কাজ করতে পারবেন। তবে মন্ত্রিসভা বা শীর্ষস্থানীয় পদে নারীরা না–ও থাকতে পারেন। পাশাপাশি গত দুই দশকে যাঁরা সরকারে ছিলেন, তাঁদের এ সরকারে নেওয়া হবে না।