ত্রিশাল-পোড়াবাড়ী সড়কটি বছর পাড় না হতেই বেহাল দশা

বিশেষ প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ত্রিশাল-পোড়াবাড়ী সড়কটি নির্মাণের এক বছর পাড় না হতেই খানাখন্দ সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে ।

স্থানীয়রা বলছে, ত্রিশাল-পোড়াবাড়ী সড়কটির প্রায় সাড়ে ছয় কিলোমিটার রাস্তা মেরামত  জন্য (২০১৮-১৯) অর্থবছরের জুন মাস পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বিএম এন্টারপ্রাইজকে। কিন্তু  কাজ শেষ হওয়ার বছর না ঘুরতেই সড়কেটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে । সড়কে চলাচলকারী ছোট বড় মালবাহী যানবাহন নিয়মিতই আটকে যাচ্ছিল সৃষ্ট খানা-খন্দে।  দুর্ঘটনায়, হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে সড়কে চলাচলকারীদের। ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে ভোগান্তীর স্বিকার  হয়েছে মালবাহী যানবাহন এবং পথচারী।

অভিযোগ রয়েছে, গত বছর এমন বেহাল দশায় উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান খানাখন্দ সংস্কারে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বিএম এন্টারপ্রাইজকে চিঠি পাঠালে এসব খানাখন্দে ইট, বালু ফেলে কোনো রকম চলাচলের উপযোগী করা হয়েছিল। এভাবে গত বর্ষা পেরুলেও এবার বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই আবারও চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে সড়কটি।

মঠবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল কদ্দুস মণ্ডল জানান, ত্রিশাল-পোড়াবাড়ী সড়কটি ত্রিশাল, ভালুকা, টাঙ্গাইলের সঙ্গে সংযোগ রয়েছে। এ সড়ক দিয়ে তিন উপজেলার মানুষের যাতায়াত। নির্মাণের কিছুদিনের মধ্যেই সড়কে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। যতই দিন যাচ্ছে এই সড়কটি গাড়ি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে।

ত্রিশাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ আমিন বলেন, ‘রাস্তাটি এলজিইডি-এর আওতাভুক্ত। তবে এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। উনি উপজেলা প্রকৌশলীকে বিষয়টি অবগত করেছেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন।’

স্থানীয় শাহীন হোসাইন সাজ্জাদ জানান, সড়কটি মেরামত করা হলেও নিম্নমানের কাজ হওয়ায় অল্প কিছু দিনের মধ্যেই খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছিল। তখন ইট, বালু ফেলে সাময়িক চলাচলের উপযোগী করা হলেও এখন আবারও বেশ কয়েকটি জায়গায় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দ্রুত মেরামত করা না হলে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

অন্যদিকে প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান সড়কটি আবারও মেরামতের আশ্বাস দিয়ে জানান, সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ পরিদর্শন করা হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব তা মেরামতের মাধ্যমে আপাতত যানবাহন চলাচলের উপযোগী করা হবে। পরে সড়কটির স্থায়ী সমাধানের জন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, উপজেলা প্রকৌশলীকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেয়ার পর তারা সড়ক পরিদর্শনে গিয়েছে এবং ত্রিশাল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকেও এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।