ফকরুদ্দীন আহমেদ, নিজস্ব প্রতিবেদক :
ত্রিশাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজিজুর রহমানের নির্দেশে ত্রিশাল থানার এক আলোচিত ধর্ষণ মামলার আসামী গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গ্রেপ্তার করেছেন এস,আই পলাশ বেনার্জী।
মামলা সূত্রে জানা যায় -ত্রিশাল উপজেলার সাখুয়া ইউনিয়নের গরীব বাজার নামকস্থানের দুলাল মিয়ার মেয়ে ভালুকা উপজেলার ভরাডোবা মন্তাজ টেক্সটাইল মিলের শ্রমিক (ছদ্মনাম) ফাহিমা আক্তার (১৮) গত (২২শে জুলাই) ইং রাতের শীফটে ডিউটি করার জন্য ভ্যানগাড়ী দিয়ে সাখুয়া বাজার পৌঁছে বাসের জন্য অপেক্ষা করলে ত্রিশালের রায়মনি গ্রামের আরফান আলীর ছেলে পিকআপ চালক আশরাফুল ইসলাম ওরফে আশু ( ২০) হাতদিয়ে মুখ চেপে ধরে অন্য একটি ভ্যান গাড়ীতে উঠিয়ে মামলায় উল্লেখিত ২নং বিবাধীর নতুন বিল্ডিংয়ে নিয়ে তুলেন। পরে বাদীকে ভয় দেখিয়ে বার বার ধর্ষন করেন। ২৩জুলাই সকালে ভয়-ভীতি দেখিয়ে অজ্ঞাত একটি সিএনজিতে তুলে দেন বলে বাদী মামলায় উল্লেখ করেন। পরে মিল শ্রমিক (ছদ্মনাম) ফাহিমা আক্তার অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতে গিয়ে তার মা বাবাকে রাতের নির্মম ঘটনাগুলো বললে (২৫শে জুলাই ২০১৯) ইং তারিখে তার মা তাছলিমা বেগমকে সাথে নিয়ে ৩ জনকে আসামী করে
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সংশোধিত -৭/৯(১)/৩০ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন ত্রিশাল থানায়। মামলায় আসামী ১- আশরাফুল ইসলাম আশু( ২০), পিতা আরফান আলী। ২নং আসামী- আল আমিন (১৯) পিতা আলম। ৩নং আসামী- রাজু (১৯) পিতা অজ্ঞাত সর্বসাং রায়মনি, উপজেলা- ত্রিশাল, জেলা-ময়মনসিংহ।
বিবাধী মামলায় উল্লেখ করেন যে, ১নং আসামি বাদীকে আগে থেকেই কু-প্রস্তাব করে আসছিল। প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায়,জোরপূর্বক তুলে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষন করেন।
এই আলোচিত মামলার আসামীরা দীর্ঘদিন ধরে আত্মগোপন করে এলাকা ছেড়ে যখন অন্যত্র চলেগিয়েছিল ঠিক এই সময় আসামী ধরতে দায়িত্ব দেওয়া হয় ত্রিশাল থানার চৌকশ পুলিশ অফিসার এস,আই পলাশ বেনার্জীকে। বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান এই এস,আই।
ত্রিশাল প্রতিদিন
মোমিন তালুকদার