ত্রিশালে লাইসেন্স বিহীন ফার্মেসী, প্রশাসন নিরব


মামুনুর রশিদ::ময়মনসিংহের ত্রিশালে পৌরসভা সহ ১২টি ইউনিয়নে প্রায় ৫ শতাধিক ঔষধের ফার্মেসী রয়েছে। এরমধ্যে গোটা কয়েক ফার্মেসীর ড্রাগ লাইসেন্স থাকলেও বাকি সবগুলোই চলছে লাইসেন্স বিহীন। প্রশাসনের নিরবতার ফলে মোটা অংকের রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। ছোট বড় গঁজানো এসব ফার্মেসীর মালিকদের না আছে শিক্ষাগত যোগ্যতা না আছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নুন্যতম অনুমোদন।খোজঁ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা সদর সহ ১২টি ইউনিয়নে পাঁচ শতাধিকের বেশি ঔষধের ফার্মেসীর মধ্যে দশ বারটির মতো ফার্মেসীর ড্রাগ লাইসেন্স থাকলেও বাকি সবগুলোই চলছে লাইসেন্স ছাড়া। এর মধ্যে উপজেলা ও পৌর শহরেই রয়েছে অর্ধ শতাধিক লাইসেন্স বিহীন ফার্মেসী। তারা নিয়মত চালিয়ে যাচ্ছে রমরমা ব্যবসা। অনেক ফার্মেসীতে আবার ডাক্তারদের প্র্যাকটিসের নামে চলছে নামে বেনামে কোম্পানির ঔষধ সরবরাহের পন্থা ও ডায়গনোষ্টিক সেন্টারে পরীক্ষা নিরীক্ষার বানিজ্য।

দীর্ঘদিন সংশ্লিষ্টদের নজরদারী ও লাইসেন্স তদারকি কার্যক্রম না থাকায় দিনদিন বেড়েই চলেছে লাইসেন্স বিহীন ঔষধের দোকানের সংখ্যা। এতে বৈধ লাইসেন্সধারীরা লাইসেন্স নবায়ন ও নতুনরা লাইসেন্স করতে আগ্রহ হারাচ্ছেন। স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছেন প্রশাসনের উদাসিনতার ফলে মোটা অংকের রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। এসব অবৈধ ফার্মেসীর মেয়াদ উত্তীর্ন ঔষধে প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছে প্রত্যন্ত অঞ্চলের অশিক্ষিত সাধারণ লোকজন।

ত্রিশালের অধিকাংশ ফার্মেসী ঘুরে দেখা যায়, মালিকানায় যেসব যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন তার কোনটিই নেই এসব মালিকদের। এসব অবৈধ ফার্মেসীতে মেয়াদ উত্তীর্ন ও যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট সহ নামে বেনামে অনুমোদনহীন বিক্রয় নিষিদ্ধ কোম্পানির ঔষধও বিক্রি করা হচ্ছে। একাধিক ফার্মেসীতে দেখা যায় ভেটেনারী ও মানুষের ঔষধ বিক্রি হচ্ছে পাশাপাশি। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, লাইসেন্সবিহীন এসব ফার্মেসীতে সরকারের অনুমোদনহীন ওইসব ইন্ডিয়ান ঔষধ বিক্রি করছে মাদকসেবী ও উঠতিবয়সী যুবক ও তরুণদের কাছে।

পৌরশহরের একাধিক বৈধ ফার্মেসীর মালিকরা বলেন, সংশ্লিষ্টদের নজরদারী না থাকলে নতুনরা লাইসেন্স সংগ্রহ করতে আগ্রহ হারাবে।সূত্র-আমার সংবাদ