ইমরান হাসানঃ ময়মনসিংহের ত্রিশালে দিন দিন বেড়েই চলেছে শীতের তীব্রতা। ইতোমধ্যে বাতাসে দেখা দিয়েছে হিমেল ছোঁয়া। শীত আগমনের সময়টায় অনেকে মনে করেছিল হয়ত এবার ঠান্ডার পরিমান কম হবে।কিন্তু চিরাচরিত নিয়মে কুয়াশার আঁচল সরিয়ে শিশিরবিন্দু মুক্তো দানার মতো দ্যুতি ছড়াতে শুরু করেছে ভোরের নরম রোদে। পৌষের প্রথম সপ্তাহ জেঁকে বসতে শুরু করেছে শীত। বিশেষ করে ভোরে ও সন্ধ্যায় শীত অনুভূত হচ্ছে বেশি। ঘরের বাইরে বের হলে গরম কাপড় চাপাতে হচ্ছে শরীরে।
প্রতিবছরের মত শীত আসার আগে বসেছে গরম কাপড়ের মেলা। এদিকে শীত বাড়ার সাথে সাথে হঠাৎ বেড়েছে গরম কাপড়ের চাহিদা। বেচা-কেনাতে জমজমাট হয়ে উঠছে ফুটপাত থেকে শুরু করে বিভিন্ন পোশাক বিপণীবিতানে। বাড়ছে ক্রেতার ভিড়। সকাল থেকে শুরু করে রাত ১১ টায় পর্যন্ত চলছে কেনাকাটা। কয়েকদিনে শীত বাড়ার সাথে সাথে ক্রেতাদের উপস্থিতিই বেড়েছে মার্কেটে ।
ত্রিশাল নগরীর প্রাণকেন্দ্র বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান সড়ক ও সানাউল্লাহ মার্কেট রোডের ফুটপাতের দোকানগুলোতে থরে থরে সাজানো রয়েছে নানা ডিজাইনের শীত নিবার্ণের পোষাক। নিম্নবিত্ত বা স্বল্প আয়ের লোকজন ভিড় করছে নগরীর ফুটপাথের গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে। কারণ কম দামে ব্যতিক্রমী শীতবস্ত্র মিলে ফুটপাথে।যা বড় বড় বিপণীবিতানে মেলে না।তাই শীতে নিজে এবং পরিবারের সরক্ষায় নিম্নবিত্ত বা স্বল্প আয়ের লোকজনের সাথে মধ্য আয়ের মানুষদের উপস্থিতি সব সময়ই। হকারদের হাঁকডাকে মুখরিত ফুটপাথ। পথচারীরা চলতে গিয়ে একবারের জন্য হলেও বেছে নিচ্ছেন নিজের ও পরিবারের ছোট বড়দের জন্য গরম কাপড়।
ত্রিশালে শীতের সময় ত্রিশাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের ফুটপাত,নজরুল একাডেমী রোডে অবস্থিত ফুটপাত,কলেজ বাজার ফুটপাতে শীতের কাপড় কেনার জন্যে সকল শ্রেণির লোকজনই আসে। মার্কেটের দামের তুলনায় এখানে কম দামে শীতের কাপড় কিনে ক্রেতারা খুব খুশি।
সোয়েটারের দাম মানভেদে ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, ছেলেদের সোয়েটার ৮০ থেকে ৫০০ টাকা, ছেলেদের জ্যাকেট ১৮০ থেকে ৭০০ টাকা, বাচ্চাদের সোয়েটার ২২০ থেকে ৫০০ টাকা, হাতের মোজা ৪০ থেকে ১০০ টাকা। এছাড়া শিশুদের কানটুপি ৪০ থেকে ২০০ টাকা ও মাফলার ৫০ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি করছে। এছাড়া ত্রিশাল উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট-বাজারগুলোর ফুটপাতে শীতের গরম কাপড়ের বেচাকেনা জমে উঠেছে। ফুটপাতের গরম কাপড় বেচাকেনার দৃশ্যই জানান দিচ্ছে, শীতবস্ত্রের কদর কতটা বেড়েছে।