ত্রিশাল প্রতিদিন ডেস্ক:: ত্রিশাল সাব-রেজিষ্টার অফিসে রেজিষ্ট্রিকৃত দলিলের দু‘রকম নকল কপি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, ১৪ এমএল সিংহ রোড তেরিবাজার ময়মনসিংহ শহরে বসবাসকারী মৃত আলাউদ্দিনের পুত্র মোঃ আনোয়ার হোসেন খান গত ২৯/০৮/২০১৭ইং তারিখ ওয়ারিশিয়ান দাতার নিকট থেকে নিজ নামে ৭ শতাংশ জমি ত্রিশাল সাব-রেজিষ্টার অফিসে সম্পাদন করে রেজিষ্ট্রি করেন। যার দলিল নং-৮২২১ মৌজা : বাগান, দাগ নং-৩৫৪২। পরে জমির গ্রহিতা নিজ নামে জমা খারিজ করে নেন যার খারিজ খতিয়ান নং-১৭০০ ক্রয়কৃত এ জমির অপর এক মালিকানা দাবীদার ত্রিশাল উপজেলার বাগান গ্রামের মৃত হাজী আব্বাছ আলীর পুত্র রফিকুল ইসলামের সাথে এ জমি নিয়ে বিরোধের পর আনোয়ার হোসেন খানের মামলা মোকাদ্দমার সৃষ্টি হয়।
আনোয়ার হোসেন খান বাদী হয়ে মামালা করার পর জানতে পারে যে, রেজিষ্ট্রিকৃত জমির দলিলের দাগ বিরোধকৃত জমির দাগ নয়। পরে জমির গ্রহীতা এই দলিলে আরেকটি নতুন দাগ সংযোগ করে অপর একটি নকল কপি তৈরী করেন। কিন্তু পূর্বের নকল কপিতে নকশায় একটি দাগ থাকলেও পরের নকল কপিতে নকশায় অতিরিক্ত আরেকটি দাগসহ দুটি দাগ সংযুক্ত থাকতে দেখা যায়,যার দাগ নং-৪৯২০ দলিল নং-৮২২১। পরে এই দলিলের দাগ নম্বর দিয়ে আনোয়ার হোসেন খান নিজ নামে আরেকটি জমা খারিজ করিয়ে নেন যার খারিজ খতিয়ান নং-১৮৭১। ধারনা করা হচ্ছে জমির গ্রহিতা আনোয়ার হোসেন খান মামলায় জিতার জন্য সাব রেজিষ্টার অফিসে বা কোন দালাল চক্রের সাথ যোগাযোগ করে অতিরিক্ত দাগ নম্বর সংযুক্ত করিয়ে দলিলের ভূয়া নকল কপি তৈরী করিয়েছেন। মামলার বিবাদী রফিকুল ইসলামও অনুরূপ মন্তব্য করেছেন। একই তারিখে রেজিষ্ট্রিকৃত একই দলিলের দুটি ভিন্ন নকল কপি কিভাবে সম্পন্ন হয় তা তদন্ত সাপেক্ষে উদঘাটনের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করা হয়েছে। এ ব্যপারে সাব-রেজিষ্ট্রারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে জানান।