ত্রিশাল প্রতিদিন ডেস্ক::কুষ্ঠ রোগ নির্মূলে বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। আগামী সেপ্টেম্বর কিংবা অক্টোবরে একটি আন্তর্জাতিক কনফারেন্স আয়োজন করা হয়েছে। এবিষয়ে এরইমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মতি দিয়েছেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে সোমবার নিপ্পন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) কুষ্ঠ নির্মূল বিষয়ক শুভেচ্ছা দূত ও মিয়ানমারে জাতীয় মীমাংসা বিষয়ক জাপান সরকারের বিশেষ দূত ইওহেই সাসাকাওয়া তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করে এই বিষয়টি অবহিত করেন।
জাপানের বিশেষ দূত বলেন, এ ধরনের রোগ বর্তমানে বাংলাদেশে সহজে নিরাময়যোগ্য। কুষ্ঠ নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের সাফল্য প্রসংশনীয়। এসময় তিনি কুষ্ঠ রোগ নির্মূলে জনসচেতনতা বৃদ্ধি নিয়ে বাংলাদেশ ও ডব্লিউএইচও’র যৌথ উদ্যোগে একটি আন্তর্জাতিক কনফারেন্স আয়োজনের বিষয়ে স্পিকারকে অবহিত করেন। এ কনফারেন্স আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতি রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামী সেপ্টেম্বর/আক্টোবর মাসে সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশে এ কনফারেন্স আয়োজন করা হবে।
স্পিকার কনফারেন্স আয়োজনের উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং সব ধরনের সমর্থন অব্যাহত রাখার আশ্বাস প্রদান করেন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ১৯৯৬ সাল থেকে কুষ্ঠ রোগ নির্মূলে কাজ করছে। কুষ্ঠরোগ নির্মূলে জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিতে বাংলাদেশ সরকার কাজ করছে।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা লাভের পর জাপানের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন। পথ পরিক্রমায় এ সম্পর্ক আজ অত্যন্ত সুদৃঢ়। ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক আরো জোরদার হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ইওহেই সাসাকাওয়া বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া অবশ্যই বেগবান করতে হবে। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে জাপান। ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে উদারতার পরিচয় দিয়ে মানবতার যে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রতি জাপানের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন ইওহেই সাসাকাওয়া।