কাতার সংকটের জন্য সৌদি জোট দায়ী : যুক্তরাষ্ট্র

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন বলেছেন, উপসাগরীয় অঞ্চলে কয়েক মাস ধরে যে কূটনৈতিক সংকট চলছে তা খুব শিগগিরই সমাধান হবে না বলে মনে করছেন তিনি। এই সংকট সমাধানে কোনো ধরনের উন্নতি না হওয়ার পেছনে তিনি সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটকেই দায়ী করেছেন। খবর আল জাজিরা।

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতি এমন মন্তব্য করেন টিলারসন। দেশগুলোর মধ্যে যে দ্বন্দ্ব বা সংঘাত তৈরি হয়েছে তা সমাধানে মধ্যস্ততা করতে শুক্রবার সৌদি সফরে যাবেন টিলারসন। এই সফরের মাত্র একদিন আগেই সৌদি জোটের বিপক্ষে সুর চরালেন তিনি।

ব্লুমবার্গকে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এই সমস্যা যে কোনো সময়ই সমাধান হবে বলে মনে করছি না আমি। কিছু দেশ এ বিষয়ে সত্যিকার অর্থেই অনিচ্ছুক। তারা এই সংকট সমাধানে যুক্ত হতে চায় না।

গত জুনের ৫ তারিখে সৌদি আরব, আরব আমিরাত, মিসর এবং বাহরাইন কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। সে সময়ই কাতারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে মদদ ও অর্থ সহায়তা এবং ইরানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের অভিযোগ এনে দেশটির সঙ্গে স্থল, আকাশপথ এবং সাগরপথে নিষেধাজ্ঞা জারি করে চার আরব দেশ। তবে সব ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে দোহা।

গত জুনের ২২ তারিখে আরব দেশগুলো কাতারের ওপর ১৩ দফা দাবি পেশ করে। আল জাজিরা বন্ধ, ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক সীমিত, তুর্কি সেনা ঘাঁটি প্রত্যাহারসহ বেশ কিছু দাবি জানানো হয়।

কাতারের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে এসব দাবি প্রত্যাহার করে নেয় দোহা। কাতারের সঙ্গে আরব দেশগুলোর প্রায় চার মাস ধরে এই অচলাবস্থা চলছে। কুয়েত এবং যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপের পরেও এই অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। টিলারসনও এ বিষয়ে কথা বলতে জুলাই মাসে সৌদি আরবে সফর করেছেন।

টিলারসন বলেন, এটা চার আরব দেশের নেতৃত্বের ওপর নির্ভর করছে। শুক্রবার সৌদি আরবে পৌঁছাবেন টিলারসন।

তিনি আরো বলেন, তাদেরকে একত্র করতে আমরা যে কোনো ধরনের কাজ করতে প্রস্তুত। কিন্তু এই ক্ষেত্রে এটা নেতৃত্ব দেয়া আরব দেশগুলোর ওপরই বেশি নির্ভরশীল।