কাতারের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে সৌদির

কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের আগ্রহ দেখিয়েছেন সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মাদ বিন সালমান। সম্প্রতি তিনি কাতারের অর্থনীতির প্রশংসা করেছেন। কিন্তু তার এই প্রশংসা খুব একটা কাজে দেয়নি। তার তীব্র সমালোচনা করে কাতারের উপ-প্রধানমন্ত্রী খালিদ আল-আতিয়া বলেছেন, তার দেশের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপকারী চার দেশকে দোহার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।

শনিবার দোহায় ‘পারস্য উপসাগরে উত্তেজনা: ফলাফল ও করণীয়’ শীর্ষক এক বৈঠকে ক্রাউন প্রিন্স বলেন, কাতারের জনগণের মধ্যে প্রবল ঐক্য এবং বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার তড়িৎ পদক্ষেপের ফলে কাতারের বিরুদ্ধে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন অবরোধ ব্যর্থ হয়েছে।

গত মঙ্গলবার রিয়াদে অনুষ্ঠিত ‘মরুভূমির ডেভোস’ শীর্ষক বিনিয়োগ সম্মেলনে দেয়া বক্তৃতায় কাতারের সঙ্গে আবারও সম্পর্ক স্থাপনের আগ্রহ প্রকাশ করেন প্রিন্স সালমান। তিনি বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে মতবিরোধ থাকা সত্ত্বেও কাতারে একটি শক্তিশালী অর্থনীতি রয়েছে এবং দেশটি আগামী পাঁচ বছরে অনেক দূর এগিয়ে যাবে।

ক্রাউন প্রিন্সের ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা ভিন্ন মতাবলম্বী সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার কারণে মোহাম্মাদ বিন সালমান যখন প্রবল আন্তর্জাতিক চাপের মুখে রয়েছেন তখনই তিনি এমন বক্তব্য দিলেন।

তার এ বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় খালিদ আল-আতিয়া বলেন, তার দেশ সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন দেশগুলোর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ কাটিয়ে উঠেছে। কিন্তু এ অবরোধ কাতারের জনগণের দৈনন্দিন জীবনের ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে যা কাটিয়ে উঠতে সময় লাগবে।

২০১৭ সালের জুনে কাতারের ওপর অবরোধ আরোপ করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিসর। কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে দেশগুলো। সম্পর্ক ছিন্ন করার পাশাপাশি জল, স্থল ও আকাশপথে কাতারের ওপর অবরোধ আরোপ করে ওই চার দেশ যা এখনো বহাল রয়েছে।