কথা রাখবে কি আওয়ামীলীগ!

আরিফ রববানীঃ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এর দেয়া বিভিন্ন গণমাধ্যমের বক্তব্যে হতাশ হয়েছেন ত্রিশাল উপজেলা আওয়ামীলীগের তৃণমুল নেতাকর্মী ও সাধারন ভোটারা।

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-৭ ত্রিশাল আসন থেকে আওয়ামীলীগের নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী ত্রিশাল উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি,ত্রিশাল পৌরসভার দুই বারের নির্বাচিত সফল মেয়র,পৌর উন্নয়নের রুপকার,তরুন রাজনীতিবিদ জননেতা আলহাজ্ব এবি এম আনিছুজ্জামান একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রির প্রথম দিন অন্যান্য প্রার্থীদের পাশাপাশি ৯ নভেম্বর নেতা-কর্মীসহ গাড়ী বহর নিয়ে ঢাকা ধানমন্ডি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রিয় কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম ক্রয় করেন।

এদিকে নির্বাচনকে ঘিরে উপজেলা আওয়ামীলীগের তৃণমুল নেতাকর্মী ও সাধারন ভোটার ও মেয়র আনিছ সমর্থক নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ্ উদ্দীপনা থাকলেও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান,মেয়র সহ কোন জনপ্রতিধিরা এমপির মনোনয়ন পাছেন না আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এর দেয়া বক্তব্যে হঠাৎ করেই বদলে যাচ্ছে ত্রিশালের নির্বাচনী হাওয়া।
আলহাজ্ব এবিএম আনিছুজ্জামান সাবেক যুবলীগের সভাপতি, পৌরসভার দুই বার নির্বাচিত জনপ্রিয় মেয়র । ছাত্রজীবন থেকেই আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে সক্রিয়। ছাত্রলীগ থেকে শুরু করে যুবলীগের দায়িত্ব ও পালন করেন তিনি, ত্রিশাল উপজলো যুবলীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন দীর্ঘদিন। ত্রিশালের আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে মেয়র আনিছ একমাত্র নেতা যিনি দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে কোন সময় বঙ্গবন্ধুর আদর্শচ্যূত হয়নি। বরং গত নির্বাচনে মনোনয়নের আশা করেও বঞ্চিত হয়ে দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশ মোতাবেক মহাজোট প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে তাকে বজিয়ী করেন। দীর্ঘদিন যাবৎ এমপি শুন্য ত্রিশালে তৃর্ণমুল নেতা কর্মীদের পাশে রয়েছেন তাদের খোজ-খবর রেখেছেন।

অনেকের মতে রাজনৈতিক অঙ্গনে হাতে গুনা মাত্র কজন রাজনীতিবীদের মধ্যে মেয়র আনিছ অন্যতম নেতা। আওয়ামীলীগের দুঃসময়ে দলকে সুসংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ রাখার জন্য ত্রিশালের আওয়ামীলীগে মেয়র আনিছের বিকল্প হিসেবে কেউ ছিলনা। তার বলিষ্ট নেতৃত্বের সাংগঠনিক দক্ষতা দিয়ে ত্রিশালের আওয়ামীলীগ কে যেমনি সু-সুংগঠিত রেখেছেন তেমনি ভাবে তিনি ত্রিশাল পৌর সভার দুই বার মেয়র নির্বাচিত হয়ে তার সুপরিকল্পিত চিন্তা-চেতনা দিয়ে পৌর এলাকার পাশাপাশি উপজেলার বিভিন্ন রাস্তাঘাট সহ বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নে বিশেষ অবদান রেখে ইতিমধ্যোই ত্রিশালের সর্বসাধারনের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। যা বিগত দিনে কোন সরকার বা কোন জনপ্রতিধির দ্বারা সম্ভব হয়নি।

ত্রিশালের রাস্তাঘাটের দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়েছে মেয়র আনিছের হাত ধরেই। ইতোমধ্যে আনিছ এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়ন, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও জনসচেতনতামূলক কাজ করে জনগণের আস্থা ও সমর্থন অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। দক্ষ সংগঠক হিসেবে তার পরিচিতি রয়েছে বেশ। দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে তিনি এলাকায় সভা-সমাবেশ ও গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন। সাধারণ জনগণের মাঝে তুলে ধরেছেন সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড,যে কারনে তিনি সাংগঠনিকভাবে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন।
হতাশাগ্রস্থ ভোটাররা মনে করেন- জননেতা আলহাজ্ব এবিএম আনিছুজ্জামান ময়মনসিংহ-৭ ত্রিশাল আসন থেকে নৌকার মনোনয়ন পেলে তার চেয়ে শক্তিশালী প্রার্থী আর অন্য কেউ হবেনা। ত্রিশালে বিএনপির যে কোন প্রার্থী সাথে ভোটযুদ্ধে মোকাবেলা করে আওয়ামীলীগের বিজয় নিশ্চিত করে আসনটি দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে তিনিই একমাত্র নেতা ও রাজনীতিবিদ।

তারা আশাবাদী দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক দক্ষতা ও পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হয়ে ত্রিশলের রাস্তাঘাট সহ দৃশ্যমান বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের সুফল হিসেবে অতি সহজেই বিপুল ভোটে নৌকাকে বিজয় করে ত্রিশালের আসনটি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে পারবেন।