কোটা সংস্কার করে উচ্চ আদালত রায় দিলেও আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন সমন্বয়ক। সমন্বয়করা বলেছেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে অনেক শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার বিচার না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।এমনকি সমন্বয়করাও দাবি করছেন, তারাও নিজেদের সবার সঙ্গে যোগোযোগ করতে পারছেন না।
এই সমন্বয়কদের অভিযোগ , শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমন করতে অনেক বিক্ষোভকারীকে হত্যা করা হয়েছে। দুই জন সমন্বয়ক নিখোঁজ হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা ধামাচাপা দিতে সরকার ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রেখেছে।
কোটা আন্দোলনের একজন সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম বলেন, “আদালতের রায়কে আমরা সাধুবাদ জানাই। তবে আমাদের মূল দাবি নির্বাহী বিভাগের কাছে। সেসব দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত, দেশব্যাপী চলমান কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচী চলবে।”
শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে যেসব দাবি জানানো হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে গত কয়েকদিনে বিক্ষোভকারীদের মৃত্যুর ঘটনায় বিচার, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার, সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের মুক্তি, দ্রুত ইন্টারনেট সেবা চালু ও ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা।
সমন্বয়কদের কয়েকজন বলছেন, এসব দাবি পূরণ না হলে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। কোটা আন্দোলনের সমন্বয়ক আসাদুল্লাহ আল গালিব জানিয়েছেন, “আদালতের সাথে আমাদের দাবির কোন সম্পর্ক নাই। নির্বাহী বিভাগের মাধ্যমে কোটা সংকটের সমাধান করতে হবে”।
তিনি বলেছেন, ‘’আমাদের সবার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। যে তিনজন সরকারের সাথে কথা বলতে গেছে, তারা ব্যক্তিগত জায়গা থেকে তাদের আটদফা দাবি জানিয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের যে কমিটি আছে, সেখানে কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। কোন আট দফা বা নয় দফা দাবির সিদ্ধান্ত হয়নি।”
অন্য আরেকজন সমন্বয়ক আব্দুল কাদের বলেছেন, ‘’সর্বোচ্চ আদালতের রায় আমাদের কাছে অস্পষ্ট মনে হয়েছে। এখানে সকল প্রকার কোটার বিষয়ে সুস্পষ্ট সমাধান নেই।‘’
আরেকজন সমন্বয়ক আরিফ সোহেল বলেছেন, ‘’আটককৃতদের মুক্তি দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবস্থা চালু করতে হবে। তখন আমরা যোগাযোগ করে একটি সম্মিলিত দাবিদাওয়া উত্থাপন করতে পারবো।‘’