ত্রিশাল প্রতিদিন ডেস্কঃ ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা এম এ হান্নান তালুকদার চলে গেলেন না ফেরার দেশে। জীবনের নানা অপূর্ণতা অভিযোগ আজ তার আর নেই। লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে অনেক দিন অসুস্থ থাকার পর ০৯ই ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭.৩০ ঘটিকার সময় নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেন। শুক্রবার দুপুর ০২টায় দক্ষিণ ভাটিপাড়া হাইস্কুল মাঠে জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাযার নামাজে লোকে লোকান্য ছিল মাঠ সকল রাজনৈতিক ও জনসাধারনের উপস্থিতি ছিল চোখে পরার মত।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আর্দশকে বুকে ধারন করে এম এ হান্নান তালুকদার তার জীবনের ইতি টানলেন। সৌখিন জীবন যাপনে অব্যস্থ হান্নান তালুকদারের খারাপ সময়ে একাই ছিলেন। দলীয় বড় কর্তারা মাঝে মধ্যে দেখা করতেন কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপলোড দিয়ে নিজের দায়বদ্ধতা শেষ করতেন। আমাদের চোখে দেখা দলের যখন ভাল সময় তিনি ত্রিশাল বাজারের নিদৃষ্ট কিছু দোকানে বসে সময় পার করতেন। ঐ সময়টায় দলের কোন অনুষ্ঠান বা প্রয়োজনে তেমন ডাক পেতেন না। অনেকেই বলতো দেখে শিখ রাজনীতিতে বয়স হলে কেউ ডাকে না। তার প্রমাণ বসে থাকা তালুকদার। নির্বাচনটা আসতে দে তখন কদর কাকে বলে দেখবি।
নির্বাচনের সময়টা তার মূল্য সবাই দিত তাইতো জাতীয় সংসদ নির্বাচন ১৯৯৬,২০০১ ও ২০০৮ সালে ময়মনসিংহ-৭ ত্রিশাল আসনের আওয়ামীলীগ প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনার আহবায়ক ছিলেন। সাফল্যের সাথে আওয়ামীলীগ প্রাথীকে বিজয়ী করতে গুরোত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলে। তার পর এইতো …… তার মধ্যে পদের কোন লোভ ছিল না। সত্যই পদের লোভ ছিলনা কিন্তু বাকিদের ছিল বলে তার জায়গাটা কেউ করে দেয়নি।কিন্তু ব্যবহার করতে কেউ ভূল করেননি। তার খারাপ সময়ে দল বা দলের লোক পাশে না থাকলেও তিনি সব সময় দলের পাশে থেকে দলকে সুসংগঠিত করেছেন ।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, ৬৫ বছর বয়স্ক আওয়ামীলীগের বর্ষীয়ান নেতা এম এ হান্নান তালুকদার ১০ বছর যাবদ উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কিডনি, পাইলসসহ বিভিন্ন রোগ আক্রান্ত ছিলেন। গত ৭মাস যাবদ তিনি ব্রেন স্টোক করে লিভার ক্যান্সেরে আক্রান্ত হয়ে বিছায় পড়ে ছিলেন। তার চিকিৎসায় শেষ হয়েছে বাকি যা ছিল । এখন শূন্য গোলা শূন্য মাঠ সব শেষ করেও রাখা যায়নি তাকে।
মৃতুকালে তিনি ০২ছেলে , ০১ মেয়ে এবং স্ত্রীসহ রেখে গেছেন। ত্রিশাল উপজেলার বর্ষীয়ান আওয়ামীলীগ নেতা এম এ হান্নান তালুকদারের মৃত্যুতে উপজেলায় শোকের ছায়া নেমে আসছে। উপজেলার সকল রাজনৈতিক, সামাজিক ব্যক্তিবর্গ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন । জানাযা শেষে তাকে পারিবারিক গোরোস্তানে দাফন করা হয়। এখন অপেক্ষার পালা এই পরিবারের কখন সূর্যদয় হবে।