ত্রিশাল প্রতিদিন ডেস্ক:: সাধারণত অপরিচত পুরুষ ও নারী একসঙ্গে কথা বলা তো দূরের কথা, দেখা করাও ইসলাম ধর্মে নিষেধ আছে। সেক্ষেত্রে যৌনকর্মী কাছে যাওয়াটা ধর্ম সমর্থন করে না। কারণ, যৌনকর্মী ও পরনারীর সঙ্গে বিয়ে ছাড়া সম্পর্ক করলে সেটা অবৈধ বলে বিবেচিত হবে। আর এই যৌনবৃত্তিকে বৈধ এক ঘণ্টার বিয়ের রীতি চালু করছে ইরান। ধর্মকেও মাঝে মধ্যে যে ব্যবসায়িক পণ্য বানানো হয় তার জ্বলন্ত উদাহরণ দিল ইরান।
ইরানে শরীয়াহ আইন মোতাবেক মূলত দুই ধরণের বিয়ে প্রচলিত আছে। একটি স্থায়ী বিয়ে না স্বাভাবিক যে বিয়ে হয় সেটি। অপরটি হলো, অস্থায়ী বিয়ে যাকে বলা হয় মুতা’হ বিয়ে।
মুতা’হ এক ধরণের সাময়িক বা অস্থায়ী বিয়ে। একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য মোহর/অর্থের বিনিময়ে কোনো স্ত্রী লোকের সঙ্গে এই বিয়ে হয়ে থাকে। নির্দিষ্ট সময় সীমা অতিক্রম হওয়ার সাথে সাথে আপনা আপনি এ বিয়ে ভেঙে যায়। এর জন্য তালাকের দরকার হয় না। এ বিয়ে প্রথাটি আরবে ইসলাম পূর্ব যুগে ব্যাপকভাবে প্রচলিত ছিল। ইসলামের প্রাথমিক যুগেও এর প্রচলন ছিল। তবে নবীজী (সা.) এই বিয়ে কিয়ামত পর্যন্ত নিষিদ্ধ করেন। এখন এই সময়ে এসে ইরানে সেই মুতা’হ বিয়ে হচ্ছে যৌনকর্মীর সাথে সঙ্গমকে হালাল করার জন্য!
ইরান মূলত শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ একটি দেশ। শিয়াদের রক্ষণশীল সমাজের আইনকানুন বেশ কড়া। বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কের ব্যাপারে কঠোর আইন আছে। অথচ একই সঙ্গে এই রক্ষণশীল সমাজ যৌনকর্মীদেরও জন্ম দিয়েছে। যে যৌনকর্মীরা অর্থের বিনিময়ে প্রলুব্ধ করবে শিয়া পুরুষদের।