আঁখি রানী দাস তিতলি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:: জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্ঞানের গলির মেসগুলোতে চলছে একের পর এক রহস্যজনক চুরির ঘটনা।
সর্বশেষ গত শুক্রবার ১৮ জানুয়ারী ২০১৯ সকাল সাতটা থেকে সারে সাতটার মধ্যে জ্ঞানের গলির মামুন মন্জিলে এই চুরির ঘটনাটি ঘটে। ইংরেজী বিভাগের ২০১৩-২০১৪ শিক্ষাবর্ষের সনিয়া আফরোজ এবং ফোকলোর বিভাগের ২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবর্ষের শারমিন ফারিয়ার রুমে ঘটে চুরির এই ঘটনা। চোর নগদ ছয় হাজার টাকা সহ শারমিন ফাররিয়ার অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি চুরি করে নিয়ে যায়, ঘটনার সময় শারমিন ফারিয়া রুমেই ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল এবং সনিয়া আফরোজ মেসের খালা আসবে বলে দরজা খোলা রাখে বলে জানায়।
অনুরূপভাবে গত ৮/১০/২০১৮ অক্টোবর মামুন মন্জিল থেকে চারুকলা বিভাগের ২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবর্ষের আফসানা কলি এবং অর্থনীতি বিভাগের (২০১৭-২০১৮) শিক্ষাবর্ষের ইশরাত জাহান খুশির রুম থেকে পাঁচ হাজার টাকা এবং অ্যান্ড্রোয়েড ফোন চুরি হয়।
গত ১২/১২/২০১৮ এবং ২১/১২/২০১৮ তারিখে মামুন মন্জিলের ঠিক সামনেই মাহবুব মন্জিলে পর পর দুইটি চুরির ঘটনা ঘটে। এতে ইএসই বিভাগের ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষের ফারজানা আক্তার ইতির নগদ এক হাজার টাকা ও অ্যান্ড্রয়েড ফোন এবং ইংরজী বিভাগের ২০১৩-২০১৪ শিক্ষাবর্ষেরর নগদ পনেরশত টাকা এবং দুইটি ফোন চুরি হয়। এমতাবস্থায় প্রথম ঘটনার পর প্রক্টোরিয়াল বডি মেসটি পর্যবেক্ষণ করতে আসলেও পরবর্তী চুরির পর আর আসেননি এবং পর্যাপ্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলে জানা যায়। মেসের মালিক এবং মেসের কেয়ারটেকার ঘটনার জন্য নিজেদের দ্বায়ভার নিতে অস্বিকার করে এবং কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেনি বলে জানা যায়।
সানিয়া আফরোজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়ে বলেন, তাদের সহ সকল শিক্ষার্থীর যেন থাকার সুব্যবস্থা করা হয় এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ নিরাপত্তা প্রদান করা হয়। আফসানা কলি বলেন,বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন সংকটের কারণেই আমরা বাইরে থাকি, বাইরে আমাদের যে কোন সমস্যায় পাশে থাকতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দায়বদ্ধ থাকার কথা থাকলেও উনাদের ততপরতা তেমন চোঁখে পড়েনা।
আফসানা কলি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং স্থানীয় প্রশাসনের সমন্নয়ে চুরি বন্ধ ও চুরি যাওয়া মালামাল ও টাকা উদ্ধারে যথাযথ ব্যাবস্থা নেয়ার জন্য জোর দাবী জানান।