ষ্টাফ রিপোর্টারঃ ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার কাকনী ইউনিয়নে অবস্থিত বাশতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি পরিত্যক্ত ঘর ও স্কুল মাঠকে অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে উদ্ধার করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মিজাবে রহমত ।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিষয়টি স্থানীয় শিক্ষা অফিসে জানালে বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণের জন্য বরাদ্দ হয়। নবনির্মিত ভবনটিতে ক্লাশের কার্যক্রম শুরু করার পর থেকে পুরাতন অব্যবহৃত টিনশেড ঘরটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে। এই সুযোগে স্থানীয় প্রভাবশালীরা স্কুলের সেই পুরাতন অব্যবহৃত টিন শেড কক্ষটি দখলে নিয়ে সেখানে গরু, ছাগল ও অন্যান্য উপকরণ রেখে কক্ষ ও মাঠ দখল করে রেখেছিলো।একই সাথে স্কুল মাঠে গরু-ছাগল চড়ানোর ফলে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা করতেও সমস্যা পোহাতে হয়।বছরের বছর চেষ্টার পরেও যখন অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করা যাচ্ছিল না তখন চলতি বছরের ১৪জুন বুধবার তারাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মিজাবে রহমত হঠাৎ স্কুলটি পরিদর্শনে গেলে ছাত্র-ছাত্রীদের দাবীর প্রেক্ষিতে তিনি স্কুলের পরিত্যক্ত ভবন ও মাঠটি অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করেন। বিদ্যালয়ের পুরাতন অব্যবহৃত ভবনটি অবৈধ দখলদারদের কবল মুক্ত হওয়ায় খুশি শিক্ষক, অভিভাবক ও কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।
বাশতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক-বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের পাশাপাশি খেলাধুলায় উৎসাহীত করতে এখন আর কোনো সমস্যা হবে না। ইউএনও স্যারের হস্তক্ষেপে স্কুলের জায়গা থেকে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ হয়েছে। স্কুলের ভবন নির্মাণ হওয়ার পর পুরাতন অব্যবহৃত টিনশেড ঘর ও মাঠের জায়গা দখল করে সেখানে প্রভাবশালীরা গরু-ছাগল লালন-পালন করতো। যেকারণে স্কুলের শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করতে পারতো না,গরু ছাগলের গোবরে মাঠের পরিবেশ থাকতো নোংরা,দুর্গন্ধযুক্ত। উপজেলা নির্বাহী আফিসারের হস্তক্ষেপে তা উচ্ছেদ করায় দীর্ঘদিন পর শিক্ষার্থীরা স্কলের পরিবেশ ফিরে পেয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও মিজাবে রহমত জানান, স্কুলটির ভবন হওয়ার ফলে পুরাতন টিনশেড ঘরটি অব্যবহৃত থাকার ফলে প্রভাবশালীরা সেটা দখলে নিয়ে গরু-ছাগল রাখতো,তাদের গরু-ছাগল স্কুল মাঠে চরানোর ফলে মাঠে গোবর আর দুর্গন্ধে পরিবেশ নষ্ট হয়ে পড়েছিলো,এর ফলে পাঠদান আর শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার চর্চা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছিল। তাই পরিত্যক্ত সেই টিনশেড ঘরটি দখলমুক্ত করা হয়েছে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার জীবন আরা বেগম ও অন্যান্য শিক্ষকগণ।