ষ্টাফ রিপোর্টারঃ গৌরীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের নবগঠিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক, সাবেক ছাত্রনেতা সোমনাথ সাহা বলেছেন-শেখ রাসেল আজ বেঁচে থাকলে বয়স হতো ৫৮ বছর। শামিল হতেন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ বিনির্মাণে। ভিশন ২০২১, ২০৩০, ২০৪১, ডেল্টা প্ল্যান, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব নিয়ে তার হাসু আপা বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয় এখন যেমন দেশের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন, তিনিও নিঃসন্দেহে নিজেকে দেশের জন্য নিয়োজিত রাখতেন।
মঙ্গলবার (১৮ই অক্টোবর) বিকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেল এর ৫৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গৌরীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
উক্ত আলোচনা সভায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি নাজিমুল ইসলাম শুভ,গৌরীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
সোমনাথ সাহা বলেন, শেখ রাসেল আজ বাংলাদেশের প্রতিটি শিশু-কিশোর, তরুণ, শুভবোধসম্পন্ন মানুষের কাছে একটি আদর্শ ও ভালোবাসার নাম। শেখ রাসেল অবহেলিত, পশ্চাৎপদ, অধিকারবঞ্চিত শিশু-কিশোরদের আলোকিত জীবন গড়ার প্রতীক হয়ে গ্রাম থেকে শহর তথা বাংলাদেশের প্রতিটি লোকালয়ে ছড়িয়ে পড়ুক, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ সদস্যের নাম দিয়েছিলেন ব্রিটিশ দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেলের নামে। এই নামটিকে ঘিরে নিশ্চয়ই বঙ্গবন্ধুর মহৎ কোনো স্বপ্ন বা আকাঙ্ক্ষা ছিল। বঙ্গবন্ধু নিজেও ছিলেন বিশ্ব মানবতার উজ্জ্বল দ্যুতি, নিপীড়িত মানুষের বন্ধু, বাঙালি জাতির পিতা, মুক্তিকামী মানুষের মহান নেতা এবং গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও শান্তি আন্দোলনের পুরোধা। সেই ছোট্ট বয়সে শেখ রাসেল যখন টুঙ্গিপাড়ায় বেড়াতে যেতেন, সেখানে বাচ্চাদের জড়ো করতেন, খেলনা বন্দুক তৈরি করে তাদেরকে প্যারেড করাতেন। সোমনাথ সাহা বলেন, ‘পরিবারের সহায়তায় তিনি খুদে ওই বাহিনীর জন্য জামা-কাপড় ঢাকা থেকেই কিনে নিতেন, খাবারের ব্যবস্থাও করতেন। শেখ রাসেলের স্বভাব ও আচরণ ছিল অন্য আর দশজন থেকে ব্যতিক্রম, অনায়াসেই যে কেউ তার একনিষ্ঠ ভক্ত এবং বন্ধু হয়ে যেত।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোমনাথ শাহা ৭৫-এর পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডের নিষ্ঠুরতার কথা উল্লেখ করে বলেন, মাত্র ১১ বছর বয়সে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র শেখ রাসেল, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ঘাতকদের হাতে নির্মম হত্যার শিকার হন। পৃথিবীতে যুগে যুগে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ঘটেছে কিন্তু এমন নির্মম, নিষ্ঠুর এবং পৈশাচিক হত্যাকাণ্ড কোথাও ঘটেনি।
মা, বাবা, দুই ভাই, ভাইয়ের স্ত্রী, চাচা-সবার লাশের পাশ দিয়ে হাঁটিয়ে নিয়ে সবার শেষে নিষ্ঠুরভাবে ঘাতকেরা হত্যা করে শেখ রাসেলকে। যাদের সান্নিধ্যে স্নেহ-আদরে হেসে খেলে বড় হয়েছে তাদের নিথর দেহগুলো পড়ে থাকতে দেখে তার মনের কী অবস্থা হয়েছিল। কী কষ্টই না তিনি পেয়েছিলেন। ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের বুলেটের আঘাতে একবারই হত্যা করেছে, কিন্তু শিশু রাসেলকে বুলেটের আঘাতে হত্যা করার আগেই কয়েকবার হত্যা করেছে।