বহু বছরের প্রাপ্তি আমরা ধরে রাখবো নাকি আগের অবস্থায় ফিরে যাবো-ইউএনও ত্রিশাল

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আক্তারুজ্জামান

মোঃ আসাদুল ইসলাম মিন্টুঃ ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আক্তারুজ্জামান।তিনি ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে যোগদানের পর থেকেই ত্রিশালবাসীকে আপন করে নিয়েছেন। তিনি অত্যন্ত দক্ষতা ও বিচক্ষণতার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের (ত্রিশাল) অংশের চরম বিষাদের একটি নাম ছিলো সড়ক দুর্ঘটনা এবং আরেকটি হলো তীব্র যানজট।

 

তিনি সড়ক দুর্ঘটনা ও যানজট নিরসনের লক্ষ্যে উপজেলা সড়ক নিরাপত্তা কমিটির সকল নেতৃবৃন্দদের নিয়ে নিয়মিত মিটিং করেন এবং সকলের সহযোগিতায় সরকার ঘোষিত মহাসড়কে তিন চাকার যান যেমন, সিএনজি, মাহিন্দ্র, ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা, যেখানে-সেখানে গাড়ি থামানো,যাত্রী উঠানো এবং অপরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন স্থানে ইউটার্ণ দিয়ে রাস্তা পারাপার  ইত্যাদি এর প্রধান কারণ।

 

তিনি সকলকে সাথে নিয়ে নিয়মিত মহাসড়কে অভিযান পরিচালনা করেন।এবং মহাসড়কের পাশে বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন।

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের (ত্রিশাল) পাশে সরকারি নজরুল কলেজ এর সামনে এবং কলেজ মার্কেটের সামনে দীর্ঘদিন যাবত অবৈধভাবে দখল করে রেখে কিছু ফলের দোকান ও চায়ের দোকান।

 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আক্তারুজ্জামানের নিরলস প্রচেষ্টায় এবং ত্রিশালের স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সর্বাত্মক সহযোগিতায় দীর্ঘদিনের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেন যার ফলে ত্রিশাল এখন যানজট ও দূর্ঘটনা মুক্ত।

 

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আক্তারুজ্জামান বলেন, আলহামদুলিল্লাহ সকলের সহযোগিতায় আমরা ত্রিশাল কে যানজট ও দূর্ঘটনা মুক্ত করতে পেরেছি।আমি ধন্যবাদ জানাই ত্রিশাল উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদের সুযোগ্য চেয়ারম্যান মহোদয়, পৌর মেয়র মহোদয়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক মহোদয়, উপজেলা শ্রমিক ইউনিয়ন, উপজেলা মোটর মালিক সমিতি, উপজেলা সিএনজি (অটোরিকশা) মালিক সমিতিসহ উপজেলার সকল স্তরের নেতৃবৃন্দকে যারা আমাকে তথা উপজেলা প্রশাসন কে সার্বিকভাবে সহযোগিতা প্রদান করেছেন।

 

তিনি আরো বলেন, বহু বছরের প্রাপ্তি আমরা ধরে রাখবো নাকি আগের অবস্থায় ফিরে যাবো।সেই দায়ভার ত্রিশালের সকল স্তরের মানুষের নিকট।