খাইরুল আলম রফিকঃ ময়মনসিংহে আবারও মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে বহুলালোচিত কয়েকটি কলগার্ল ও ব্লাক মেইলিং সিন্ডিকেট। খরিদ্দার প্রতি চক্রের হোতা ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা নিলেও কলগার্লরা মাত্র তিন’শ টাকা করে পাচ্ছেন বলে তাদের দাবি।
তবে খরিদ্দারকে ব্লাক মেইল করে হাতানো টাকা হচ্ছে ভাগবাটোয়ারা। এ চক্রের সাথে ময়মনসিংহ শহরসহ কয়েকটি উপজেলায় ফ্লাট ভাড়া করে চলছে জমজমাট এ কলগার্ল ব্যবসা ও সাপ্লাই কার্যক্রম। তারা ফেসবুক এবং ইমুতে বেশি যোগাযোগ রাখে। কল গার্লরা তাদের পেশা টিকিয়ে রাখতে কয়েক রাজনীতিক দলের নেতাদের সাথে করেছে সুসম্পর্ক। বিত্তশালী ব্যক্তি, রাজনৈতিক নেতা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ীসহ তাদের সাথে প্রেমলীলার আলাপ-আলোচনা মোবাইল ফোনে অডিও এবং ভিডিও রেকর্ড করে রাখে।
পরবর্তীতে তাদের ব্ল্যাকমেলিং করে তদবিরসহ আদায় করেন লাখ লাখ টাকা। কল গার্লদের ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার হয়ে পথে বসেছে অনেকেই। তারা মান ইজ্জতের ভয়ে পুলিশের কাছে যেতে চায় না এবং মুখ খুলতেও চায় না। একটি চক্রের সন্ধানের তথ্য উঠে আসে অনুসন্ধানি টিমের হাতে।তারা টাকার বিনিময়ে একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে করেন মামলাও। এই চক্রটি মূল হোতা কয়েকজন নামধারী নেতা। তবে ত্রিশাল – ভালুকা ও ময়মনসিংহে কল গার্ল সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
এমন কথাই জানিয়েছেন পুলিশের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা। কলগার্ল সুন্দরীদের দাবি তিন উপজেলায় নাকি আয় বেশি! নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কল গার্ল সুন্দরী জানান, বিভিন্ন সরকারি আধা-সরকারি দপ্তর ও রাজনৈতিক শীর্ষ নেতাদের কাছে বিভিন্ন সময়ে তদবির করার কাজে লাগান তাদের । এখান থেকে যে আয় হয় ৬০% তারা নিয়ে যান।
তবে তাদের সনাক্ত ও গ্রেফতার করতে মাঠে কাজ করছে ডিবি ও থানা পুলিশ।বহুলালোচিত ব্লাক মেইলিং কলগার্ল সিন্ডিকেটের ইয়াবা সুন্দরী খ্যাত ০৩ মহিলা এখন জামিনে এসে তাদের কার্যক্রম ফের শুরু করেছে। একইসাথে ডজনখানেক সিন্ডিকেট এখন বেপরোয়া। ফুলবাড়িয়া আলাদিন পার্ক কে চলছে একটি সিন্ডিকেটের আনাগোনা । গত বছর বিভিন্ন পত্রিকায় ডজনখানেক কলগার্ল সিন্ডিকেট নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে থানা পুলিশ মাঠে নামে ও অভিযানও করে। সাবধান তাদের পরিচয় না জেনে মোবাইলে বা ফেসবুক মেসেঞ্জারে অথবা ইমুতে কথা বলা থেকে বিরত থাকুন।