খায়রুল আলম রফিক : ব্লেডের উপর্যপরি আঘাতে শিশু গৃহপরিচারিকা তানিয়ার সারা অঙ্গ ক্ষত- বিক্ষত করে ফেলে রেখে পালিয়েছে মানুষরুপী পিচাশ দুই নারী । ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহ শহরের চরপাড়া এলাকার একটি বাসায় ।
অভিযোগ, ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া এলাকার কোষমাইল পানের ভিটা গ্রামের বাসিন্দা চা বিক্রেতা তাজিম উদ্দিনের স্ত্রী কমলা বেগম অভাবের তাড়নায় তার আট বছর বয়সী শিশু কন্যা তানিয়াকে গৃহপরিচারিকা হিসাবে নিটু ও আসমা নামের দুই বোনের বাসায় দেন । দুই বোনের একজন আসমা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত আছেন । এই দুই বোন এবং আসমার স্বামী সাইফুল ইসলাম মিলে নানা অজুহাতে প্রতিনিয়ত গৃহপরিচারিকা শিশু কন্যা তানিয়াকে মারধর শুরু করে । পর্যায়ক্রমে তারা প্রথমে শিশু তানিয়ার গোপনাঙ্গে ব্লেড দিয়ে ক্ষত- বিক্ষত করে । এরপর ব্লেড দিয়ে কাটা হয় তার স্তন । এতেও ক্ষান্ত না হয়ে তারা তানিয়ার সারা অঙ্গে ব্লেডের আঘাত আর আঘাত করে । একপর্যায়ে তানিয়া সঙ্গা হারিয়ে ফেললে আক্রমনকারীরা তাকে ফেলে আসে ফুলবাড়িয়ার তাদের গ্রামের পাশে পৌষমাইলে । স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ফুলবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে । ফুলবাড়িয়া থানা পুলিশের ওসি জাকির হোসেন সঙ্গীর ফোর্স দিয়ে হাসপাতালে তানিয়াকে দেখতে যান এবং তার সুষ্ঠু চিকিৎসা নিশ্চিত করেন । শিশু তানিয়াকে দেখতে আসা সকলের চোখে মুখে কুরণ অভিব্যক্তি দেখা যায় । পাশবিক নির্যাতনের এই চিত্র তাদেরকে স্তম্ভিত করে ।
মানবাধিকার কর্মী সুমন ভট্রাচার্য জানান, এহেন ঘটনা খুবই অমানবিক । সভ্য সমাজে এই নির্মম ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তারা অসভ্য । অসভ্যরা সমাজের কাটা । পুলিশ দায়িদের দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনবে এটাই আমাদের চাওয়া ।
এঘটনায় শিশু তানিয়ার চাচা সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে আসমা , তার বোন নিটু ও আসমার স্বামী সাইফুল ইসলামকে দায়ি করে ফুলবাড়িয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন জানান তানিয়ায় মা কমলা বেগম । অভিযুক্ত আসমা ময়মনসিংহ শহরে গেলে তার বাসা তালা ঝুলানো দেখা যায়। আশেপাশে বাসায় লোকজন জানান, সকালে পালিয়েছে।
ফুলবাড়িয়া থানার ওসি জাকির হোসেন জানান, এঘটনাটি ময়মনসিংহ সদরে। আমি কোতোয়ালী মডেল থানার ওসিকে জানিয়েছি,তানিয়ার মা কমলা বেগম সেখানে গিয়েছেন।
কোতোয়ালী মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ফারুক হোসেন জানান,রাতে শুনেছি, তবে অভিযোগ রাতে দেয়ার কথা ছিল এখনো দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
ফুলবাড়িয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা: সাবিনা ইয়াসমিনের মোবাইল নাম্বারে বার বার ফোন দিলেও রিসিভ করেননি।