ত্রিশাল প্রতিদিন ডেস্কঃ ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে পাঁচ লাখ টাকা কাবিনে ৫৫ বছরের বিধবা দাদির সঙ্গে ২০ বছর বয়সী নাতির বিয়ে হয়েছে। অনৈতিক সম্পর্কের জেরে বিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামে গত সোমবার বিকেলে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, ওই তরুণের সঙ্গে বিয়ের পর এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈশ্বরগঞ্জের নওপাড়া গ্রামের মরহুম ছামছুদ্দিন ওরফে শামের স্ত্রী শিরীনা আক্তারের সঙ্গে প্রতিবেশী আব্দুর রশিদের ছেলে ফারুক মিয়ার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কে তারা দাদি-নাতি হয়। দাদা ছামছুদ্দিনের মৃত্যুর পর থেকে দাদি ও নাতির মধ্যে গোপন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
০২ রা সেপ্টেম্বর রাতে দাদি-নাতির অনৈতিক সম্পর্কটা ধরা পড়ে স্থানীয়দের হাতে। এ নিয়ে পরদিন শুক্রবার ৩ সেপ্টেম্বর সালিশে বসে নাতির সঙ্গে দাদির বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেয় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। এরপর গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ওই নারীকে যুবকের বাড়িতে দিয়ে আসেন।কিন্তু তার আগেই বাড়ি থেকে পালায়ন করে নাতি।
একদিন পালিয়ে থাকার পর ০৫ই সেপ্টেম্বর বাড়িতে ফিরে আসে ওই যুবক। পরে ওইদিন ফের স্থানীয় গণ্যমান্যরা সালিশে বসে সোমবার দাদির সঙ্গে ওই যুবকের বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। এরপর গতকাল বিকেলে পাঁচ লাখ টাকা কাবিনে তাদের বিয়ে হয়।
নাতির পরিবারের অভিযোগ, ওই নারী এ বিয়েতে রাজি না থাকার পরেও এলাকার ইউপি সদস্য খাইরুল ইসলামসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সালিশের মাধ্যমে জোর করে এ বিয়ে দেন।
অপর দিকে যুবকের বাবা বলেন, সালিশে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের পা পর্যন্ত ধরেছি। এরপরও আমার অবিবাহিত ছেলেকে ৫৫ বছর বয়সী ওই নারীর সঙ্গে পাঁচ লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে দিয়েছে।
বড়হিত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ জালাল বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। বিয়ে হয়েছে কি-না তাও বলতে পারব না। আমি বেশ কয়েকদিন ধরে অসুস্থ।
এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল কাদির মিয়া বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এছাড়া থানায় কেউ এবিষয়টি নিয়ে আসেনি।