ত্রিশাল প্রতিদিন ডেস্ক::ত্রিশাল উপজেলা আ‘লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও ত্রিশাল ইউনিয়নের সাবেক সফল চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত আবুল হোসেনর ছেলে এ.বি.এম আনিছুজ্জামান আনিছ। ত্রিশালের উন্নয়নে যার লড়াইটা শুরু হয়েছিলো বিগত ২০১০ সাল থেকে। সেই থেকে প্রতিটি কাজকেই চ্যালেঞ্জের সাথে মোকাবেলা করেছেন তিনি। দীর্ঘ ৮ বছরের জনপ্রতিনিধিত্ব জীবনে নানা প্রতিকূলতা, বাধা বিপত্তি আসলেও কখনো পিছপা হননি আনিছ।
সততা, নিষ্ঠা ও সাহসীকতার সাথে উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডের কারনে ত্রিশাল পৌরসভা সহ গোটা উপজেলাবাসীর কাছে তিনি এখন একজন সফল জনপ্রতিনিধি। কর্মজীবনে পেয়েছেন জনগণের অকৃত্রিম ভালবাসা ও সম্মান।
আশির দশকে ছাত্রলীগের কর্মী থেকে নেতৃত্বগুণের জন্য ১৯৮৬ সালে দায়িত্ব পেয়েছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক পদ।ছাত্রলীগের সফল নেতৃত্বের গুণের ফলে পর পর ২ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেছেন উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি পদে।বর্তমানে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি সহ ২য় মেয়াদে সফল ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন পৌর মেয়র হিসেবে।
দ্বিতীয় মেয়াদে মেয়র হিসাবে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে নাগরিকদের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করেন। দুইশত কোটি টাকার অধিক ব্যয়ে ড্রেনেজ ব্যবস্থা, সড়ক বাতি স্থাপন, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন সম্পাদন করেন । তার মধ্যে পৌর এলাকার অলিগলির রাস্তা থেকে শুরু করে বড় বাজেটের অনেক রাস্তা সংস্কার ও নির্মাণ করেছেন। তার মধ্যে পৌর বাজারের রাস্তা গুলোর যে উন্নয়ন তা এক দুঃসাহসীক অভিযানের মত সম্পাদন করে উন্নয়নে বিপ্লব ঘটিয়েছে। বিবেকমান মানুষ হিসেবে পৌরবাসীর কাছে বিশেষ ভাবে পরিচিত এই পরিশ্রমী মেয়র । করোনা ভাইরাসের কড়াল গ্রাসের সময় তার ভূমিকা সত্যই প্রশংসীয়। সরকারি অর্থের সাথে নিজের অর্থও ব্যয় করে নাগরিক সেবায় তার অবদান মানবিকতাকে এ নতুন মাত্র দিয়েছে। দলমত নির্বিশেষে সকল মানুষই বলছেন, মেয়র আনিছুজ্জামানের আমলে ত্রিশাল পৌরসভার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।
তবে মেয়র আনিছুজ্জামান আনিছ বলেন, এখনও বেশকিছু কাজ বাকী রয়েছে । পৌরবাসী আমাকে আবার চাইলে বাকি কাজ গুলো সম্পন্ন করে একটি পূর্নাঙ্গ সফল পৌরনগর করে দিয়ে যাব ।
বাকি উন্নয়ন গুলোর মধ্যে রয়েছে বৃদ্ধাশ্রম, সুতিয়া নদী সংষ্কার করে চারপাশে পর্যটন ও উন্মুক্ত বিনোদন কেন্দ্র , পৌর এলাকার খালগুলি সংস্কার, শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি, শিশুদের জন্য শিশুপার্ক, শেখ রাসেল পার্ক, বর্জ্য থেকে গ্যাস উৎপাদন, আধুনিক বাস টার্মিনাল , আধুনিক স্টেডিয়াম নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে তার ।
উপজেলা আওয়ামীলীগের অভিভাবক পর্যায়ের এই নেতা এবারও দলীয় প্রতীকের বাইরে থেকে নির্বাচন করবে বলে পৌরবাসির মুখে মুখে। মেয়রের অসমাপ্ত উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত হলে ত্রিশাল পৌরসভা পূর্ণাঙ্গ শহরে পরিণত হবে বলে ভোটাররা জানিয়েছেন।
ত্রিশাল পৌরবাসী’র দাবি আগামী ১৪ই ফেব্রুয়ারি ত্রিশাল পৌরসভা নির্বাচনে ৩য় বারের মত মেয়র আনিছকে জয়যুক্ত করে উন্নয়নের বাকি অংশটুকু পূরন করে একটি পূর্নাঙ্গ আধুনিক, সর্ব সুবিধা সম্পন্ন, আবাসযোগ্য পৌরসভায় রুপান্তর করতে হবে।
এখানে আমরা বর্তমান মেয়র কে কারো সাথে তুলনা করিনি শুধু তার উন্নয়নের কিছু অংশ প্রকাশ করেছি।বাকিটা আপনাদের অভিমত।
আমার ভোট আমি দেব যাকে খুশী তাকে দেব।