ত্রিশাল প্রতিদিন ডেস্কঃঃ ইতিমধ্যে শীতের আগমন জানান দিয়ে দিয়েছে এই ষড়ঋতুর দেশে।কুয়াশা আবৃত সকাল, গাছে নতুন পাতা,পিঠার মৌসুম হিসাবে ঘরে ঘরে পিঠা উৎসবে মিলিত হয় কাছে/দূরের সম্পর্ক গুলো। ১৪,৩৫,০৭,৭০০ মসলমানের দেশ বাংলাদেশ । ওলি আওলিয়ার পদযাত্রায় ধন্য দেশের এপাড় ওপাড়। আদিকাল থেকে ধর্ম প্রচারে বা মসজিদ মাদ্রাসা গুলো আয়োজন করে বিভিন্ন ইসলামিক জলসা / সভার। এই ইসলামী সভার মূল উদ্দেশ্য হল মুসলমানদের অনিয়ম থেকে নিয়মের ভেতর আনার জন্য যাকে বলে মুটিবেশন । তার সাথে মূলত মসজিদ মাদ্রাসার উন্নয়নের লক্ষ্যে এর আয়োজন করা হয়। প্রতি বছর শীত মৌসুমে এ সকল ওয়াজ মাহফিল বেশি হয়ে থাকে । এ রকম আয়োজন দেশে কম বেশী সর্বত্রই হয়ে থাকে।মূলত এই সকল মাহফিলে বক্তব্য রাখেন দেশের বড় বড় আলেম ওলামারা। তাদের মধ্যে সবাই একই মতাদর্শের হয় না।যার ফলে কেউ কেউ এমন বক্তব্য রাখেন যা হয়তো অনেকের মতাদর্শের বাইরে।বিশেষ করে যেসব বক্তা কৌশলে রাজনৈতিক বা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার মতো উস্কানি দেন তাদের বিষয়ে মূলত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক।
ফলে সরকার মনে করছেন এমন বক্তব্যের ফলে দেশ ও সরকারের উন্নয়নে প্রভাব ফেলতে পারে। ইতি মধ্যে অনেক বড় মাপের আলেমরা নানা অভিযোগে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছেন।এবং তাদের প্রতি নানা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে । তার সাথে অনেক বক্তারা এ মৌসুমে ওয়াজ মাহফিলে কোথায় কোন বক্তা যাচ্ছেন তা নজরদারি করতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে। ইতিমধ্য ডিসেম্বরে এমনি এক প্রতিবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হয়েছে এবং সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ আছে, ওয়াজ মাহফিল ময়মনসিংহ সহ মোট ২৮টি জেলায় বেশি হয় । এবং নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতি জেলায় ওয়াজ মাহফিলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নজরদারি শুরু করেছে। এ ছাড়াও বিতর্কিত বক্তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ইউটিউবে আপলোড হওয়া বক্তব্যগুলোও নজরদারি করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ আছে- আইনশৃঙ্খলা বাহিনী’র করণী’য় ও সুপারিশে বলা হয়েছে, যেসব এলাকায় মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় সেসব এলাকা’র মাহফিলগুলোতে পুলিশ, সাদা পোশা’কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী’র নজরদারি বৃদ্ধি করতে হবে। মাহফিল অনুষ্ঠিত হওয়া’র আগে পুলিশ ও বিভিন্ন সংস্থা’র সদস্যদে’র মাহফিলে’র বক্তা কে তার রাজনৈতিক পরিচয় বা এর আগে তার বক্তব্যে কোথাও হট্টগোল সৃষ্টি হয়েছে কি-না তা কঠোরভাবে খতিয়ে দেখতে হবে।
আরো বলা হয়েছে, এসব তথ্যের সত্যতা থাকলে মাহফিল বন্ধ করার জন্য কমিটিকে আহ্বান করা সহ মাহফিলে কোনো জনপ্রতিনিধি উপস্থিত থাকার কথা থাকে তাহলে তাকে না আসার জন্য অবহিত করতে হবে। যদি কমিটি মাহফিল বন্ধ করতে রাজি না হয় তাহলে আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ করতে হবে।প্রয়োজনে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে হবে।
নজরদারি জেলা সমুহ হলো- ময়মনসিংহ, শেরপুর, জামালপুর, নেত্রকোনা, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, নীলফামারী, গাইবান্ধা, চাঁপাই নবাবগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও, রংপুর, কুড়িগ্রাম, রাজশাহী, পঞ্চগড়, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, বগুড়া, সিলেট, নাটোর, সাতক্ষীরা, খুলনা, ঝিনাইদহ, বাগেরহাট ।