ত্রিশাল প্রতিদিন ডেস্কঃআগামী’কাল সোমবা’র সারা দেশে ১৬০টি ইউনিয়ন পরিষদে’র (ইউপি) নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। এরই মধ্যে ভোটে’র আগেই বাগেরহাট, চট্টগ্রাম ও খুলনায় ৪৩টি ইউপিতে আওয়ামী লীগে’র মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এ’র মধ্যে বাগেরহাটে ৬৬টি ইউপি’র মধ্যে ৩৮টিতে আওয়ামী লীগে’র প্রার্থীদে’র কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন না। বাকি ২৮ ইউপিতে আওয়ামী লীগে’র প্রার্থী’র প্রতিদ্বন্দ্বী দলেরই বিদ্রোহী প্রার্থী’রা।
তবে এবা’র বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেওয়া’র কথা আগেই জানিয়ে দিয়েছে। ফলে আওয়ামী লীগে’র নীতিনির্ধারকদে’র আশঙ্কা ছিল, নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী’র মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হবেন দলেরই বিদ্রোহী প্রার্থী’রা। এতে সংঘাত ও প্রাণহানির আশঙ্কা তৈরি হবে। এ জন্য নির্বাচনে কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী হলে ভবিষ্যতে আর নৌকা প্রতীকে’র প্রার্থী হতে পারবেন না—দলের কেন্দ্র থেকে এমন কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে।
তারপরও বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগে’র নেতারা বিদ্রো’হী হিসেবে দাঁড়িয়েছে’ন এবং বহিষ্কৃত হয়েছেন। তবে বাগেরহাটে’র বেশির ভাগ ইউপি’তে দলে’র কেউ বিদ্রোহী হওয়া’র সাহস পাননি। এ কারণে সেখানে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা’য় জয়ী’র সংখ্যা বেশি বলে দলে’র নেতারা মনে করছেন।
তবে সুজন এর সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন , মানুষ জেনে গেছে যে দিন শেষে জয়ী হবেন সরকারদলীয় প্রার্থীরা। ফলে নির্বাচনে অংশ নেওয়াকে পণ্ডশ্রম ও অর্থে’র অপচয় মনে করেন অনেকে।