১০ ঘন্টায় ময়মনসিংহে রফিকুল হত্যা মামলার ৪ আসামী গ্রেফতার

আরিফ রববানী, ময়মনসিংহ:-ময়মনসিংহে কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশের দক্ষতা ও মেধায়   মাত্র ১০ ঘন্টায় মধ্যেই রফিকুল ইসলামকে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত চার ঘাতককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।জেলার তারাকান্দার মধুপুর এলাকা থেকে কোতায়ালী পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করেছে বলে জানা গেছে । গ্রেফতারকৃতরা হলো, আনিছ আহমেদ, মোঃ সাদ্দাম, মন্তাজ আলী ও রানু বেগম।

পুলিশ এলাকাবাসি সুত্রে জানা গেছে, ময়মনসিংহ নগরীর মাসকান্দার আনোয়ার হোসেনের ছেলে প্রবাসী ওসমানের সাথে রফিকুল ইসলামের মেয়ে তাছলিমার সাথে গত কয়ে বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। তারা সম্পর্কে খালাতো ভাইবোন। প্রেমের সম্পর্ক আরো গভীর করতে প্রবাসী প্রেমিক বিদেশ থেকেও তার মা রানু বেগমের অগোচরে প্রেমিকার জন্য উপহার ও নগদ টাকা পাঠাতো। ওসমান দেশে ফিরে পরিবারের সম্মতি তাছলিমাকে বিয়ে করার দাবি তুলে। উভয় পরিবার এতে রাজি না হলে, গেল রমজান মাসে তারা পালিয়ে বিয়ে করে। বিয়ের কয়েকদিনের মধ্যে সকলেই এ বিয়ে মেনে নিলেও ওসমানের মা রানু বেগম তা মেনে নেয়নি। এ নিয়ে রানু বেগম তার ছোট বোনের স্বামী রফিকুল ইসলামকে নানাভাবে শাসিয়ে আসছে। তাদের মধ্যে চলছে বিরোধ। রবিবার সন্ধ্যায় রফিকুল ইসলাম মাসকান্দা হাইস্কুল রোড একটি চায়ের দোকানের সামনে গেলে ওসমানের মা রানু বেগম তার কাপড় চোপড়ে ধরে টানাহেঁচড়া ও মারধর শুরু করে। রানু বেগমের সাথে তারই ছোট বোনের জামাই রফিকুল ইসলামের ঝগড়ার খবর মুহূর্তে পৌঁছে গেলে রানু বেগমের ছোট ভাই আনিছ, সাদ্দাম, মানিক ও বাবা মন্তাজ আলীসহ অন্যান্যরা ছুরি নিয়ে আসে এবং রফিকুল ইসলামকে উপুর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে নিহত করে। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের ভাই বাদল বাদি হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা নং ৮৫, তাং ২৩/৫/২২ দায়ের করে।

এর আগে রফিকুল ইসলামকে ছুরিকাঘাতে হত্যার খবর পেয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি চৌকস ও দায়িত্বশীল ওসি শাহ কামাল আকন্দ হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়। কোতোয়ালি পুলিশের এসআই আনোয়ার হোসেন, নিরুপম নাগ, মিনহাজ উদ্দিন, এএসআই সুজন চন্দ্রসহ একটি শক্তিশালী টিম রাতভর অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে তারাকান্দার মধুপুর এলাকা থেকে ৪ ঘাতককে গ্রেফতার করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক রাসুল সামদানী আজাদ জানান, প্রেমের বিয়ে মেনে নেয়া না নেয়ার ঘটনায় এই হত্যাকান্ড ঘটে।

ওসি শাহ কামাল আকন্দ বলেন, হত্যাকান্ডের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই মুলহোতাসহ চারজনকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। এদের মাঝে দুইজনকে রিমান্ডের আবেদন করে গ্রেফতারকৃত ৪,আসামীকে সোমবার আদালতে পাঠানো হলে  দুই জন আদালতে হত্যার দায় স্বিকার করে জবাববন্দি দিয়েছে। অন্য আসামীদেরকেও গ্রেফতারের চেষ্ঠা চলছে।

তিনি আরো বলেন- একই দিনে থানার এসআই উত্তম কুমার দাসের নেতৃত্বে একটি টীম খাগডহরের রহমতপুর বাইপাস এলাকা থেকে মাদক ব্যবসায়ী মোঃ মোতালেব হোসেনকে ৩৬ লিটার চোলাই মদসহ গ্রেফতার করা হয়েছে । এ সময় মাদক বহনকারী একটি ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা জব্দ করা হয়। অপর অভিযানে এসআই মোঃ শাহজালাল চুরি মামলার আসামী মোঃ আয়নাল হককে গ্রেফতার করেছে।