সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে সকলে মিলে কাজ করতে হবে- তারাকান্দা ইউএনও

আরিফ রববানী, ময়মনসিংহ:- সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিসহ আলেম-ওলামাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত। তিনি বলেন-দেশের মানুষের মধ্যে জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসবাদ বিরোধী চেতনা সৃষ্টি হয়েছে। এই চেতনাকে আরও শাণিত করা দরকার। আপনারা যারা ধর্ম শিক্ষা দেন এটা মানুষকে আরো ভালো ভাবে বোঝাতে হবে এবং ওলামায়ে কেরামগণ এখানে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পরেন।’

মঙ্গলবার (২৪শে মে) সকালে তারাকান্দা মডেল মসজিদ সম্মেলন কক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন, তারাকান্দা উপজেলা শাখার আয়োজিত সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ প্রতিরোধে আলেম উলামা ও মাশায়েখদের করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, ‘ইতোমধ্যে সরকার যে নির্দেশনা দিয়েছে সারাদেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে একটা কমিটি করে জনমত সৃষ্টি করার সেখানে মসজিদের ইমামগণ রয়েছেন, ওলামায়ে কেরামগণ রয়েছেন সকলে মিলেই এটার ব্যাপক প্রচার চালাতে হবে।

মূখ্য আলোচকের বক্তব্যে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, তারাকান্দা থানা জনাব আবুল খায়ের বলেন, ইসলামের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট স্মরণ করে বলেন, ‘ইসলাম শান্তির ধর্ম, মানবতার ধর্ম, শান্তির বাণী ইসলামই প্রথম ছড়িয়েছে-এটাকে আমাদের মানুষের কাছে নিয়ে যেতে হবে। কারণ ইসলামের যে শৌর্য-বীর্য ছিল- পুরনো ইতিহাস খুললে দেখা যাবে- মানুষের জীবনমান উন্নত করার সব শিক্ষা কিন্তু আমরা সেখান থেকে পেয়েছি।’

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত  বলেন, ‘আজকে সমান্য কয়েকটা লোকের জন্য আমাদের এই পবিত্র শান্তির ধর্ম হেয় প্রতিপন্ন হবে সেটা কাম্য নয়। অবশ্যই এটা কোরআনের বাণী, আমাদের নবী করিম (সা.) এর বাণী এবং হাদিসে যা আছে তার ভিত্তিতেই আমরা ইসলামের সমৃদ্ধ মূল বাণীটা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চাই। যাতে করে আর কেউ বিভ্রান্ত না হয়। আমাদের ধর্মকে আর যেন কেউ হেয় প্রতিপন্ন করতে না পারে, বদনাম করতে না পারে। সে ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখতে তিনি আলেম উলামাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।  ইসলামিক ফাউণ্ডেশন, তারাকান্দা এর ফিল্ড সুপারভাইজার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন-তারাকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ  মোঃ আবুল খায়ের, উপজেলা মডেল মসজিদের পেশ ইমাম  মোঃ আলমগীর কবির, ইসলামিক ফাউণ্ডেশন এর সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন মসজিদের ইমামগণ ও স্থানীয় গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গরা।