নাবিলা তাবাসসুম নূর:: শীতকালে শুষ্ক শীতল হাওয়া ও বাতাসে বেড়ে যাওয়া ধুলাবালির কারণে ত্বক হয়ে যায় খসখসে ও মলিন। এর ফলে দেখা দেয় নানা সমস্যা, যেমন ত্বক ফেটে যাওয়া, ত্বকে চুলকানি ইত্যাদি। তাই শীতে ত্বকের যত্নে ব্যবহার করতে হবে ময়েশ্চারাইজ। ময়েশ্চারাইজ শীতের শুষ্কতা কমিয়ে ত্বককে করে মসৃণ ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল। তবে এখন প্রশ্ন হলো কীভাবে ময়েশ্চারাইজ ব্যবহার করে ত্বক ভালো রাখবেন।
আসুন জেনে নিই শীতে যেভাবে ত্বকের যত্ন নেবেন:-
ত্বকে ময়েশ্চারাইজ ব্যবহার: শীতে ত্বকের যত্নে ভালো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। বাজার থেকে বাদাম তেল বা এভাকাডো সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার কিনুন। এগুলো ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় রাখতে আপনাকে সাহায্য করবে। যতবার ত্বক শুষ্ক মনে হবে ততবারই ব্যবহার করুন।
আর্দ্রতা বজায় রাখুন: শীতকালে ত্বকের আর্দ্রতা বজায়ে মাঝে মাঝে মুখে পানির ঝাপটা দিন। সহজে ত্বক শুষ্ক হবে না।
সানস্ক্রিন ব্যবহার: অনেকে মনে করেন শীতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। শীতকালেও বাইরে বের হওয়ার ৩০ মিনিট আগে এসপিএফ ১৫-৩০ সম্পন্ন সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
ভেজা ত্বকের পরিচর্যা করুন: গোসলের পর এবং প্রতিবার মুখ ধোয়ার পর ভেজা অবস্থায় ময়েশ্চারাইজার বা লোশন ব্যবহার করুন। এতে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।
অতিরিক্ত গরম পানি: গোসলের সময় আরাম অনুভব হলেও অতিরিক্ত গরম পানি দিয়ে মুখ, মাথা ধোয়া থেকে বিরত থাকবেন। অতিরিক্ত গরম পানি মুখের ত্বকের ফলিকলগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলে, যা ত্বককে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। গোসলের সময় পানিতে কয়েক ফোঁটা জোজোবা বা বাদাম তেল দিয়ে নিলে তা ত্বককে আর্দ্র ও মসৃণ করতে সহায়তা করে।
ঠোঁটের পরিচর্যা: কখনই জিব দিয়ে ঠোঁট ভেজানো উচিত নয়। কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল মধুর সঙ্গে মিশিয়ে ঠোঁটে লাগালে ঠোঁট কখনই ফেটে যাবে না।
চুলের যত্ন: শীতকালে কখন ভেজা চুলে বাইরে বের হওয়া উচিত নয়। এতে করে চুলের আর্দ্রতা নষ্ট হয় এবং চুল ভেঙে যায়।
হ্যাট পরুন: চুল ও মাথার তালুর আর্দ্রতা ধরে রাখতে হ্যাট পরুন। তবে হ্যাটটি যাতে বেশি টাইট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন।