দেলোয়ার হোসেন:: ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের শতভাগ স্কুলগামী করতে ময়মসিংহের ত্রিশালে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে উপজেলা শিক্ষা অফিস। আর নেপথ্যে কারিগর উপজেলা শিক্ষা অফিসার নূর মোহাম্মদ। যার একক চেষ্টায় মানসম্মত পাঠদান নিশ্চিতে নেয়া হচ্ছে একের পর এক উদ্যোগ। মাল্টিমিডিয়া ক্লাসের মাধ্যমে পাঠদান থেকে শুরু করে, স্কুলের পরিবেশ সুন্দরেও কাজ করছেন তিনি। এরেই ধারাবাহিকতায় এবার প্রতিটি স্কুলকে করছেন আকর্ষনীয়। শিশুবান্ধন করতে স্কুলকে রাঙিয়ে তুলছেন লাল সবুজের রঙে। নজর কাড়তে দেয়ালে একেছেন নানা ধরণের ছবি।
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার সবগুলো প্রাথমিক বিদ্যালয়কেই সাজানো হচ্ছে লাল সবুজে রাঙানো স্কুলের দেয়াল। লিখা আছে, বর্ণমালার অক্ষর, বিভিন্ন মনিষীর বাণী, শোভা পাচ্ছে ফুল-ফল আর জাতীয় পাখির ছবিও। যা দেখে সহজেই আকৃষ্ট হচ্ছেন কোমলমতি শিশুরা। পাঠদানে শিশুদের মনোযোগি করতে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসের ব্যবহার হয়ে আসছে আগে থেকেই। এর সাথে, যোগ হয়েছে স্কুলের সৌন্দর্য্য। যা দেখে স্কুলে আসায় আরো উৎসাহিত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
এলাকাটিতে শিল্প কারখানা বেশি থাকায়, শিশুশ্রম বেশি। তাই, বাড়ছে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা। এমন বাস্তবতায় তাদের স্কুলমুখি করতেই এ উদ্যোগের কথা জানান কর্মকর্তারা।
শিক্ষকরা বলছেন, এ ধরণের কাজ বাস্তবায়নের ফলে স্কুলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বেড়েছে আগের চেয়ে দ্বিগুন। তাছাড়া, কিন্ডার-গার্ডেন থেকেও অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের এখন সরকারি প্রাথমিক স্কুলে ভর্তি করছেন আগ্রহ নিয়ে। সব মিলিয়ে স্কুলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি এবং শিক্ষার মান বেড়েছে। শিক্ষকদের এমন উদ্যোগে উচ্ছসিত অভিভাবকরাও।
এ বিষয়ে ত্রিশাল উপজেলা শিক্ষা অফিসার নূর মোহাম্মদ বলেন, এই উপজেলায় প্রাথমিকে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর হার অনেক বেশি। সরকারি খাতায় ২৫ শতাংশ আছে, শিক্ষার্থীরা স্কুলে যায় না। আমরা, সেই বিষয়টি অনুধাবন করে এ ধরণের উদ্যোগ নিয়েছি।
তিনি বলেন, মোট ১৮২টি সরকারি প্রাথমিক স্কুলে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে শিক্ষা অফিস। যার সুফল হিসেবে ঝরে পড়ার হার কমে আসবে শুণ্যের কোটায়।