নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতা ঠেকাতে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে সরকার।
বুধবার (২৬ মে) দুপুর ১২টায় ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, এখনো করোনার ঝুঁকি বিদ্যমান। তাছাড়া ঈদে স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ হওয়ায় করোনার পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা রয়েছে। তাই আগামী ১২ জুন পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাধারণ ছুটি বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে যেকোনো মুহূর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীরা যেন কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেটি নিশ্চিত করা হবে। অনলাইন ক্লাস শুরুর পর ডিজিটাল ডিভাইসের যে অসামঞ্জস্যতা তৈরি হয়েছিল সেটি অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রমের মাধ্যমে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে। শতকরা ৯৩ শতাংশ শিক্ষার্থী অ্যাসাইনমেন্টন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছে। ২০২১ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের আলোকে ৬০ কার্যদিবস ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার আগে ৮৪ কার্যদিবস ক্লাসের পর শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন। যেহেতু ২০২২ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরাও এখন ক্লাস করতে পারছে না তাই তাদের পরীক্ষাও সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের আলোকে যথাক্রমে ১৫০ কার্যদিবস ও ১৮০ কার্যদিবস ক্লাসের পর গ্রহণ করা হবে।
ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে যুক্ত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান নওফেল, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব গোলাম মো. হাসিবুল আলম, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর সৈয়দ গোলাম মো. ফারুক, প্রাথমিক শিক্ষা অফিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহাম্মদ মনসুরুল আলম, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. সাজ্জাদুল হাসান, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র সাহা, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর নেহাল আহমেদ।