জাককানইবি প্রতিনিধি:: জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নিপীড়নের দায়ে সাময়িক বহিষ্কৃত শিক্ষক রুহুল আমিন এর পদত্যাগ দাবিতে নাট্যকলা ও পরিবেশনা বিদ্যা বিভাগের সামনে থেকে শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে একটি বিক্ষোভ মিছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে এসে প্রশাসনিক ভবনের সামনে সোমবার (২৩ জুলাই) বেলা ২টা ১৫মিনিটে এক সমাবেশ করে ।
সমাবেশে আবেগপ্রবণ ও ক্ষিপ্ততার প্রকাশ করে বক্তব্য রাখে কয়েকজন ছাত্রছাত্রী। তাদের হাতে বিভিন্ন ফেস্টুনে লেখা ছিল লুইচ্চা রুহুলের বহিষ্কার চাই, দুর্নীতিবাজ রুহুলের বহিষ্কার চাই । একাধিক নারী শিক্ষার্থী তাদের বক্ত্যবে ক্ষোভ ও লজ্জা প্রকাশ করেন। এক নারী শিক্ষার্থী কান্না মিশানো কন্ঠে বলেন এই শিক্ষক আমাকে বলে তুমি এতো চিকন, তোমার বাচ্চা কিভাবে হবে? রাত ২টায় ফ্লোরে আসতে পারবে? আমার নাকের ঘাম মুছে দিতে চায় এই শিক্ষক। শিক্ষক হয়ে কিভাবে এই কাজ করে? তার সাথে কায়সার ভাই আমায় বলে স্যারকে তুমি দেখবা স্যার তোমায় দেখবে। অন্য আরেক নারী শিক্ষার্থী বলেন থিয়েটার ক্লাসে তিনি বলেন আমায় জড়িয়ে ধরো, প্রেমিকের মতো করে। প্রাকটিসের সময় রোমান্স করতে হবে। তবেই না কাজ, কাজ হয়ে উঠবে।
এক ছাত্র তার বক্তব্যে বলেন উনাকে সময় না দিলে পরীক্ষার খাতায় তার প্রভাব পড়ে। তার বাসায় তাকে সময় না দিলে তাতেও সমস্যা। তিনি ক্লাসে মেয়েদের ইঙ্গিত দিয়ে বাসায় যাওয়ার প্রস্থাব দেন। তাই আমরা তার স্থায়ী বহিষ্কার চাই। সেই সাথে তার দুই চাটুকার কায়সার আহমেদ ও সৃজন মাহমুদ কে ক্যাম্পাস থেকে আজকের এই সমাবেশ থেকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হলো এবং তার প্রবেশ ঠেকাবে নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা ।
উল্লেখ্য সম্প্রতি সময়ে নাট্যকলা ও পরিবেশনা বিদ্যা বিভাগের শিক্ষক রুহুল আমিনের নামে একই বিভাগের ৩ শিক্ষিকার সাথে যৌন নিপীড়ন এর অভিযোগের প্রেক্ষিত রুহুল আমিন কে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ।
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে প্রশাসনের পক্ষ হতে একটি প্রতিনিধি দল তাদের সাথে কথা বলে এছাড়াও শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, সহকারী প্রক্টর নজরুল ইসলাম, সঞ্জয় মুখার্জি,আল জাবির প্রমুখ । আরো শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক ।
শতাধিক আন্দোলরত শিক্ষার্থীরা ১৫ দিনের সময় বেধে দেন । এই সময়ের মধ্যে বহিষ্কার করা না হলে আবারো আন্দোলনে নামবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজকের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নাট্যকলা ও পরিবেশনা বিদ্যা বিভাগের বাইরেও অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয় ।